শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য পুনর্স্থাপনে চিন্তিত ভারত নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 9 June, 2018 02:27

যুবরাজ মোহাম্মদের সংস্কারে সৌদিতে বিদেশি বিনিয়োগে ধস

যুবরাজ মোহাম্মদের সংস্কারে সৌদিতে বিদেশি বিনিয়োগে ধস
মেইল রিপোর্ট :

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কথিত ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির কারণে দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগে ধস নেমেছে। জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বা আঙ্কটাড প্রকাশিত উপাত্ত থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত বছর সৌদি আরবে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ বা এফডিআই ১৪০ কাটি ডলারে নেমে গেছে। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল সাড়ে সাতশ’ কোটি ডলার। আর ২০১২ সালে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল এক হাজার ২২০ কোটি ডলার। 

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চরম ব্যর্থতার কারণে তুলনামূলক অনেক ছোট অর্থনীতির দেশ ওমান ও জর্ডানের চেয়ে সৌদি আরব এ খাতে এখন পিছিয়ে পড়েছে। ওমানে গত বছর বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৯০ কোটি ডলার এবং জর্ডানে ১৭০ কোটি ডলার। পাশাপাশি আঞ্চলিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে সৌদি আরব তার আকর্ষণীয় ও শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।

সৌদি আরবে আঞ্চলিক বিনিয়োগের শতকরা ৫ দশমিক ৬ ভাগ অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে যে বিনিয়োগ হয়েছে এটি তার এক চতুর্থাংশ। 

এক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে কাতারের ওপর সৌদি নেতৃত্বাধীন চার আরব দেশের সর্বাত্মক অবরোধ থাকার পরও দোহা বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। দেশটিতে ২০১৬ সালে এফডিআই ছিল ৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার সেখানে ২০১৭ সালে তা বেড়ে গিয়ে ৯৮ কোটি ৬০ লাখ ডলারে ঠেকেছে।

যুবরাজ মোহাম্মদের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বিদেশি শ্রমিক ও কোম্পানিগুলোর ওপর উঁচু মাত্রার ট্যাক্স বসিয়েছেন। ফলে একদিকে যেমন কাজের লোক কমছে এবং উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি বিপুল কর এড়াতে বিদেশি কোম্পানিগুলো সৌদিতে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে।

উপরে