পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন চলছে, ভোটারদের বিপুল উপস্থিতি
পাকিস্তানের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লাখ লাখ ভোটার পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য তাদের শাসক নির্ধারণে রায় দিচ্ছেন। প্রথম ভোটটি পড়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়ার চারাসাদ্দায়।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ মূলত তিনটি দলের মধ্যে এবারের নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
সকাল ৭টা থেকেই পোলিং স্টেশনগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। যদিও তার এক ঘণ্টা পর সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
সবার আগে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা নাগরিকদের মধ্যেই পিএমএল-নওয়াজ প্রধান শাহবাজ শরিফও রয়েছেন। লাহোরের মডেল টাউনে পোলিং স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে ভোটারদের দলে দলে এসে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে আজ বুধবার জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
বুধবার অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে ইসিপি। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ভোটের সরঞ্জাম সংগ্রহের কাজ শেষ করেছেন।
এদিন পুলিশ ও সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্সসহ ভোটের অন্যান্য সরঞ্জাম গ্রহণ করেন। পরে কঠোর নিরাপত্তায় সেগুলো ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়।
তবে লাহোরের কয়েকজন নারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনেছেন। তাদের অভিযোগ, ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাসময়ে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়নি এবং তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
করাচিতে ভোটারদের সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে ভোটার তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লিখিত নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রের আশপাশে জারি করা ব্যবহার বিধি সম্পর্কেও ভোটারদের অবহিত করা হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের টহল গাড়িতে ভিডিও ক্যামেরা সংযোগ করা হয়েছে।
প্রতিটি গাড়িতে চারটি করে ক্যামেরা থাকবে এবং সেগুলো অন্তত এক মাইল দূর থেকে মানুষের গতিবিধি শনাক্ত করতে সক্ষম।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সঠিকভাবে বজায় রাখতে তিন লাখ ৭১ হাজার ৩৮৮ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।