শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর প্রশান্ত মহাসাগরে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 2 September, 2018 02:34
রাতারাতি রোহিঙ্গা-দরদি হয়ে উঠেছে বৌদ্ধরা

বিশ্বকে বশে আনতে ভোল পাল্টাচ্ছে মিয়ানমার

জাতিসংঘ রিপোর্ট ও ফেসবুক বন্ধের প্রভাব
বিশ্বকে বশে আনতে ভোল পাল্টাচ্ছে মিয়ানমার
ফাইল ছবি
মেইল রিপোর্ট :

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের রিপোর্ট ও মিয়ানমার সেনাপ্রধানের ফেসবুক পেজসহ বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রোহিঙ্গা গণহত্যায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের ক্ষোভ প্রকাশ ও দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বানে অনেকটা নরম সুরে কথা বলছে মিয়ানমারের বৌদ্ধরা। রিপোর্ট প্রকাশের পর হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছে তারা। 

হঠাৎ জাতিসংঘের হুংকার রাতারাতি রোহিঙ্গা-দরদী হয়ে উঠেছে বৌদ্ধরা।

বছরের পর বছর রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন করে আসছে মিয়ানমারের বৌদ্ধ অধিবাসীরা। ২০১৬ সালের অক্টোবরে এবং এরপর ২০১৭ সালের আগস্টে গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেনাবাহিনী। আর সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু দেশটির সর্বস্তরের জনগণ।

সেনাদের সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া, রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ, শিশুদের জীবন্ত পুড়িয়ে-জবাই করে হত্যা করেছে তারা। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের অপব্যবহার করেছে। তাদের এই নিপীড়নের জাঁতাকল থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা।

গত বছরের আগস্টে সেই রোহিঙ্গা নিধন অভিযানের এক বছর পর গত সোমবার প্রথমবারের মতো এটাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করে জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। এর জন্য দায়ী মিয়ারমার সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংসহ সেনাবাহিনীর শীর্ষ ছয় জেনারেলকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে বিচারের অনুমোদন করে তদন্তকারীরা।

একই সময় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে সেনাপ্রধানসহ বেশ কয়েকজনের ফেসবুক পেজ বন্ধ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘ রিপোর্ট প্রকাশের নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব। এখন মিয়ানমার জেনারেলদের বিচারের পথেই এগোচ্ছে। বিশ্বের ক্ষোভের মুখে রোহিঙ্গাদের প্রতি হঠাৎ দরদী হয়ে উঠেছে দেশটির বৌদ্ধরা। শুক্রবার এএফপিকে দেয়া দেশটির কয়েকজন ব্যক্তির সাক্ষাৎকারে দেশটির সামষ্টিক মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ইয়াঙ্গুনে একটি চায়ের দোকানে ৪৭ বছর বয়সী কিয়ো কিয়ো বলেন, সেনাবাহিনী নয়, এখনও সুচিই আমাদের নেত্রী। তার নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্রের জন্য সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আমার মায়া হয়। আমরা সন্ত্রাস পছন্দ করি না। তাই তাদের ব্যাপারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা লড়তেও চাই না। আমরা সেনাবাহিনীর রাখাইন কাণ্ডও সমর্থন করি না।

উপরে