শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর প্রশান্ত মহাসাগরে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 7 September, 2018 20:00
রোহিঙ্গা ইস্যু জাতিসংঘে তুলবেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আইসিসিতে মিয়ানমারের বিচারের পথ খুলল

আইসিসিতে মিয়ানমারের বিচারের পথ খুলল
মেইল রিপোর্ট :

রাখাইনে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের এখতিয়ার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে। বৃহস্পতিবার আইসিসির তিন বিচারপতির এক প্যানেল এই সদ্ধিান্ত দিয়েছে। 

এ রায়ের ফলে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক এই আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আইসিসির কৌঁসুলি ফাতোও বেনসুদার মামলা করার পথ খুলল। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মামলা তিনি করেননি। মামলা করবেন কি না, তার প্রতিক্রিয়ায় রয়টার্সের প্রতিবেদককে পাঠানো মেসেজে তিনি বলেন, আমি এখন এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।

সেনাবাহিনীর Èজাতিনিধন অভিযানে' হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতনে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে বিতাড়িত করা হয়েছে∏ মানবতাবিরোধী সে অপরাধের বিচারের এখতিয়ার কি আইসিসির আছে? তা জানতে চেয়ে এপ্রিলে আবেদন করেছিলেন ফাতোও বেনসুদা। ওই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতেই এ রায় দিলেন আদালত। রায়ে বলা হয়েছে , আইসিসির ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মিয়ানমারের বিচারিক ক্ষমতা আইসিসির আছে।

এদিকে একই দিন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর গণহত্যার অভিযোগ জাতিসংঘে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানাবেন তিনি। এ মাসেই বসছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই বিষয়টি উত্থাপন করবেন হান্ট। খবর বার্তা এএফপির।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের সঙ্গে ও নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি'র সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে মিয়ানমার যেতে চেয়েছিলেন। এমপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে আকারেই হোক, যেখানেই হোক, জাতি নিধনকারীরা কখনোই শাসি্তর বাইরে যেতে পারে না। আর এই নিন্দনীয় অপরাধের জন্য যারা দায়ী, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।

গত মাসে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ ৫ জন কমান্ডারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত নেতারা এসব অভিযোগ জোর দিয়ে অস্বীকার করেছে। কিন্তু জেরেমি হান্ট স্বীকার করেছেন, এসব দোষী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে একটি লম্বা ও কঠিন কাজ। এক্ষেত্রে তাদের যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি করতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে দাবি আসতে হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে।

জেরেমি হান্ট বলেন, কিন্তু এ মুহূর্তে এমন বিচারের জন্য নিরাপত্তা পরিষদ থেকে সবাই একমত হবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবু আমরা অপরাধীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের অবস্থান থেকে সরে যাব না। এ মাসের শেষের দিকে যখন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শুরু হবে, তখন আমি মন্ত্রীদের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আহ্বান করার ইচ্ছা রাখি।

উলে্লখ্য, জেরেমি হান্ট ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন জুলাইয়ে। তিনি জানান, তিনি যদি নিজে মিয়ানমার সফর করতেন, তাহলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শক্তিশালী একটি মামলা করতে সম্মত হতেন। তার ভাষায়, যদি আমি মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি দেখতে পেতাম। সাক্ষাত্ করতে পারতাম মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের সঙ্গে। অং সান সু চি'র সঙ্গে। তাহলে এটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতো। তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে একটি সীমারেখা অতিক্রম করা হয়েছে।

উপরে