সেরা ধনী অ্যামাজনের বেজোস, দুদিনে ১ বিলিয়নার চীনে
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানি ‘ইউবিএস’র প্রকাশিত এক জরিপে জানানো হয়, বর্তমানে বিশ্বের সেরা ধনী টেক ফার্ম অ্যামাজনের ৫৪ বছর বয়সী জেফ বেজোস ১১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে।
প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, নতুন বিলিয়নার তৈরিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে চীন। প্রতি ২ দিনে নতুন একজন বিলিনিয়রের উত্থান ঘটে চীনে, গত বছর ৫ দিন লাগত।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কোম্পানি ‘ক্রেডিট সুইস’র রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’ অনুসারে, সারাবিশ্বে দেশীয় সম্পদের বিকাশে প্রাপ্তবয়স্কদের গড় অবদানের ভিত্তিতে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময় দেশটির সম্পদের বিকাশে প্রাপ্তবয়স্কদের অবদান ৫.৫ শতাংশ হারে বেড়ে তিন লাখ ৯১ হাজার ৬৯০ ডলার হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ৬.৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার মাধ্যমে বৈশ্বিক সম্পদ বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিলিয়নার না হলেও নতুন মিলিয়নার তৈরির ক্ষেত্রেও শীর্ষে অবস্থান করছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ বছর ধরে দেশীয় সম্পদের বিকাশে শীর্ষে আছে। কিন্তু দ্রুতই তার কাছাকাছি চলে আসবে চীন। আগামী পাঁচ বছরে সারাবিশ্বে মিলিয়নারদের সংখ্যার তালিকায় শীর্ষ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তিনগুণ বেশি মিলিয়নার তৈরি করবে চীন।
একবিংশ শতকে চীনের মোট সম্পদ বেড়েছে এক হাজার ৩০০ শতাংশ হারে, যার পরিমাণ ৫১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় এটি দ্বিগুণ। এই শতকে চীনের অর্থনীতি এত দ্রুত এগিয়েছে যে আগামী প্রজন্মের মধ্যেই দেশটির সম্পদের বৈষম্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ক্রেডিট সুইস’র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’র নবম সংস্করণ এটি। সংগঠনটির নিজস্ব গবেষকরা দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ধারা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ‘ক্রেডিট’ সঙ্কট বিষয়ক এই রিপোর্ট তৈরি করে।
শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ২য় অবস্থানে রয়েছে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৯০ বিলিয়ন ডলার। ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ নিয়ে ৩য় অবস্থানে রয়েছে বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ওয়ারেন বাফেট। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের অবস্থান ৫ম।
বিশ্বের ২০০ দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে সংগ্রহ করা উপাত্তের ভিত্তিতে সংগঠনটির সবশেষ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। দেশগুলোর ধনী ও গরিবের সম্পদ পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা হয়েছে এতে।