চীনের আকাশে ঝুলবে কৃত্রিম চাঁদ!
কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয়, অমাবস্যার রাতে কোনো চাঁদ দেখেছেন? কিংবা পূর্ণিমার রাতে দুটো চাঁদ? এমন প্রশ্ন শুনলে অনেকেই হেয়ালি বলে উড়িয়ে দেবেন। এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু এটা কোনো হেয়ালি প্রশ্ন না, সত্যিই ঘটতে যাচ্ছে এমন ঘটনা। আর মাত্র বছর দুয়েক পরেই চীনের আকাশে দেখা যাবে দুটো চাঁদ।
আকাশে কৃত্রিম চাঁদ বানিয়ে রাতের অন্ধকারকে আলোকিত করার চেষ্টায় মেতেছে দেশটি। বিদ্যুতের খরচ কমাতে, এমনকি স্ট্রিট লাইটের ব্যবহার বন্ধ করতেই এমন অভিনব পরিকল্পনা করেছে ড্রাগনের দেশ।
চায়না ডেইলির খবর অনুযায়ী, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের মধ্যেই এই কৃত্রিম চাঁদ তৈরি করে ফেলবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সে দেশের বিজ্ঞানীরা।
প্রাথমিকভাবে চীনের চেংদু শহরে একটি কৃত্রিম চাঁদ লাগানো হবে। যদি সেই প্রকল্প সফল হয়, তা হলে ২০২২ সালের মধ্যে আকাশে আরও তিনটি চাঁদ ‘ঝোলাবে’ চীন।
এমনটাই জানিয়েছেন, চেংদু অ্যারোস্পেস সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মাইক্রোইলেকট্রনিক্স সিস্টেম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারপারসন উ চুনফেং। তারাই এই প্রকল্পের কাজটি করছেন বলে জানিয়েছেন চুনফেং।
তার কথায়, আসল চাঁদের আলোতেই আলোকিত হবে এই কৃত্রিম চাঁদ। কিন্তু চাঁদের থেকেও আট গুণ বেশি হবে এই কৃত্রিম চাঁদের আলো। এই কৃত্রিম চাঁদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা আজ নয়, শুরু হয়েছিল দুবছর আগেই। আর এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে হাজির এই প্রকল্পের কাজ।
চুনফেং বলেন, একজন ফরাসি আর্টিস্টের পরিকল্পনা থেকেই আমাদের মাথায় এই কৃত্রিম চাঁদের চিন্তাভাবনা আসে। প্যারিসের রাস্তায় কী সুন্দরভাবে আয়না দিয়ে একটি ঝুলন্ত নেকলেস তৈরি করে সূর্যের আলোকে কাজে লাগানোর কথা ভেবেছিলেন তিনি!
চায়না ডেইলির খবরে বলা হয়েছে, এক্কেবারে আয়নার মতোই কাজ করবে এই কৃত্রিম চাঁদ। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কিলোমিটার উঁচুতে থাকবে এই চাঁদ। এতে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে যে আলোর সৃষ্টি হবে, সেটাই আলোকিত করবে চীনের শহর ও গ্রামকে।
তবে এই কৃত্রিম চাঁদের আলো কি পশুপাখিদের কোনো ক্ষতি করবে বা জ্যোতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কোনও অসুবিধার সৃষ্টি করবে?
চুনফেং বলেন, মানুষের হাতে তৈরি চাঁদ। সেই আলোর প্রাবল্য ওঠানামার বিষয়টাও মানুষেরই হাতে।