নববর্ষের পরই ট্রাম্প-কিম সম্ভাব্য বৈঠক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আসন্ন নববর্ষের পরই ফের বৈঠকে বসতে পারেন। ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এ কথা জানিয়েছেন।
তবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র এবার আর পিয়ংইয়ংয়ের ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতি’তে গলবে না বলে হুশিয়ারি দেন তিনি। সিঙ্গাপুরে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন পেন্স। খবর এএফপির।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক সম্মেলন হয়। বৈঠকে পিয়ংইয়ংয়ের নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে তারা অস্পষ্ট একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তবে এ চুক্তির প্রকৃত অর্থ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় এক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। চুক্তির পর কয়েকটি পরমাণু কেন্দ্র বন্ধ করার কাজ শুরু করেছে পিয়ংইয়ং।
কিন্তু এর গতি খুবই মন্থর। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, কার্যকর কোনো পদক্ষেপের আগে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নিতে হবে।
সিঙ্গাপুর সম্মেলনে আরও যোগ দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। পেন্স বলেন, কিমের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়ে কাজ করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ট্রাম্পও বলে আসছেন, আগামী বছর কিমের সঙ্গে তার ফের সাক্ষাৎ হতে পারে। কিন্তু গত সপ্তাহে উত্তর কোরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে পম্পেওর পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে হোয়াইট হাউস।
তবে ওয়াশিংটন জোর দিয়ে বলেছে উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা পিয়ংইয়ংয়ের ওপর অবশ্যই চাপ বজায় রাখবে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা নিষেধাজ্ঞা পিয়ংইয়ংয়ের মিত্রদেশ রাশিয়া ও চীন শিথিল করেছে। এ কারণে সিঙ্গাপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের সম্মেলনে পেন্স উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।