মিয়ানমারে ১০৬ রোহিঙ্গা মুসলিম আটক
মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে ১০৬ রোহিঙ্গা মুসলিমকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়াগামী একটি নৌকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অভিবাসন কর্মকর্তা কয়াও তায়।
কয়াও তায় জানান, ইয়াংগুনের কিয়াউকতান টাউনশিপ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরবর্তী একটি জায়গায় নৌকাটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। তারা পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইনের রাজধানী সিত্তের বাস্তুহারা ক্যাম্প থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়।
রাখাইনে ২০১২ সালের সহিংসতার পর থেকে সিত্তের এই ক্যাম্পে ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে আটকে রাখা হয়েছে। গত বছর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে দেশটিতে পালিয়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। এদিন প্রথম দফায় ৩০ পরিবারের ১৫০ জন রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তাদেরকে গ্রহণের জন্য ওপারে (রাখাইন রাজ্যের তুমব্রু) দেশটির একজন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু এদিন দুপুর ১২টার দিকে যখন উনচিপ্রাং ক্যাম্পে থাকা এসব রোহিঙ্গাদের গাড়িতে ওঠার জন্য বলা হয়, তখন তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে আপত্তি জানায়। তাদের মুখে একটিই কথা ‘আঁরা বর্মাত ন যাইয়ুম’(অর্থাৎ আমরা বার্মায় ফিরে যাব না)।
এরপর আশপাশের ক্যাম্প থেকে হাজারও রোহিঙ্গা ঘটনাস্থলে এসে প্রত্যাবাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে। বেলা সোয়া দুটা পর্যন্ত চলে এই বিক্ষোভ।
পরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। এজন্য উভয় দেশ প্রস্তুতও ছিল। কিন্তু রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজি হয়নি।