প্রথম ফাইভজি চালু হল দ. কোরিয়ায়
ফাইভজি চালু করার দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। রাজধানী সিউলসহ ছয়টি শহরে পঞ্চম প্রজন্মোর বাণিজ্যিক এই নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
দেশটির তিনটি প্রধান টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস প্রোভাইডার এসকে টেলিকম, কেটি ও এলজি ইউপ্লাসের সেবাটি চালু করার কথা শনিবার মধ্য রাত থেকেই।
প্রচলিত এলটিই (ফোরজি মোবাইল কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড) নেটওয়ার্কের চেয়ে ফাইভজিতে ডেটা আদান প্রদানের গতি ২০ গুণ বাড়বে। তবে এই দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোই ব্যবহার করতে পারবে।
আপাতত রাউটারের সাহায্যে ওয়াইফাই ব্যবহার করেই ফাইভজি সেবা পাওয়া যাবে। এখনই স্মার্টফোনে ফাইভজি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে না। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি ভেরিজন চারটি শহরে ফাইভজি চালু করে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোর দাবি, সর্বপ্রথম ফাইভজি নেটওয়ার্ক তাদের হাত ধরেই আসছে।
কারণ ফাইভজি সেবা চালুর জন্য ভেরিজনের যে হার্ডওয়ার রয়েছে তা থার্ড জেনারেশন পার্টনারশিপ প্রজেক্ট থ্রিজিপিপির (নেটওয়ার্কের মানদণ্ড পরীক্ষা করার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান) কাছ থেকে অনুমোদন পায়নি।
টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস প্রোভাইডার এলজি ইউ প্লাস জানিয়েছে, ফাইভজি নেটওয়ার্কের কারণে তাদের রাউটার বিক্রি বেড়েছে। ফাইভজি নেটওয়ার্কের ব্যবহার শুধু স্মার্টফোন বা ডেস্কটপেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।
রিমোট কন্ট্রোল চালিত ভারি যন্ত্রপাতি, কৃষিকাজে ব্যবহৃত মেশিন, ড্রোন, সিসিটিভি, স্মার্ট ফ্যাক্টরি ও স্মার্ট সিটিতেও ব্যবহার করা যাবে এ ফাইভজি নেটওয়ার্ক।