দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাগরে জাপানের প্রথম বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো সাগরে বিমানবাহী জাহাজ ভাসানোর ঘোষণা দিয়েছে জাপান সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫বি ফাইটার জেট বহনের জন্য নিজেদের দুটি যুদ্ধজাহাজ মেরামত করে সাগরে ভাসাবে জাপান।
দেশটি ১০ বছরের প্রতিরক্ষা প্রোগ্রাম নির্দেশিকা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪২টি এফ-৩৫বি ফাইটার জেট কিনবে। এগুলো কিছু দূর গিয়েই টেক-অফ এবং আড়াআড়িভাবে ল্যান্ড করতে পারবে। এগুলো বহন করা হবে জেএস আইজুমো এবং জেএস কাগা নামের দুটি জাহাজে।
মঙ্গলবার জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আশেপাশের ব্যাপক পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে জাপানিদের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষার সব ধরনের সম্ভাব্য পদক্ষেপই নেবে সরকার।
ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, এই নতুন প্রতিরক্ষা নির্দেশিকার পর্যালোচনাটি খুবই অর্থপূর্ণ। কারণ এতে দেখা গেছে যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিত্তি হিসেবে কাজ করা জাপানি জনগণের সুরক্ষায় আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সত্যিই অপরিহার্য।
এই নির্দেশিকায় চীন, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর মতো বিশাল সামরিক সক্ষমতা সম্পন্ন সংস্থাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যেসব রাষ্ট্র ও সংস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে ভূমিকম্প প্রবণ দেশটি।
জাপান সরকার জানিয়েছে, প্রচলিত রানওয়েতে টেক-অফ ও ল্যান্ড করতে পারে এমন এফ-৩৫এ জেট আরও কিনবে তারা। আর এই ৪২টি এফ-৩৫বি ফাইটার জেট জাপানের এয়ার সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সে স্থানান্তরিত করা হবে। সেখান থেকে সরানো হবে এফ-১৫জে ফাইটার জেটগুলো।
প্রথম পাঁচ বছরে ২৭টি এফ-৩৫এ এবং ১৮টি এফ-৩৫বি ফাইটার জেট হাতে পাবে এবং যুদ্ধজাহাজ দুটি মেরামত করতে পারবে জাপান। এছাড়া দেশটির সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে পরিচালনার জন্য সাইবার প্রতিরক্ষা ও নৌপরিবহন ইউনিট তৈরি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ২৮২ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার।