শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর প্রশান্ত মহাসাগরে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 21 December, 2018 14:47

পাকিস্তানে চীনের ‘ওয়ান বেল্ট’র আড়ালে যুদ্ধবিমান কারখানা


পাকিস্তানে চীনের ‘ওয়ান বেল্ট’র আড়ালে যুদ্ধবিমান কারখানা
মেইল রিপোর্ট :

পোশাকি নাম চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে উন্নতির উদ্দেশ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ প্রকল্প শুরু করেছে চীন। দেশটির এই ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পের আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরির পরিকল্পনা।

পাকিস্তানকেই যুদ্ধবিমান বানানোর ঘাঁটি বানানো, যাতে পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলো থেকে সহজে বিমান বিক্রির ঠিকাদারি পাওয়া যায়। ‘চাঞ্চল্যকর’ এ খবর ফাঁস করল মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস।

ভারতের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শুরু করে দিয়েছে বেইজিং আর ইসলামাবাদ। এ রাস্তা ও রেলপথের একটি অংশ যাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভেতর দিয়ে। আপত্তি ছিল সেই কারণেই।

বুধবার নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত রিপোর্টে অবশ্য বলা হয়, প্রকাশ্যে বাণিজ্যিক বোঝাপড়ার কথা বলা হলেও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের পেছনে লুকিয়ে আছে যুদ্ধবিমান বানানোর গোপন বোঝাপড়া, যার অংশীদার চীন এবং পাকিস্তান।

যে কারণে এ প্রকল্পে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করছে চীন, যার পরিমাণ এই মুহূর্তে প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। আর শুধু যুদ্ধবিমানই নয়, বানানো হবে আরও অনেক অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র এবং যন্ত্রাংশ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের ওই রিপোর্টে।

সামরিক যন্ত্রাংশ বানাতে এই বছরের শুরুতেই পাক বিমান বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন চীনা প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মধ্যেই একটি বিশেষ অর্থনেতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়া হয়।

এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেই চীনের সহায়তায় বানানো হবে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, অত্যাধুনিক রাডার যোগাযোগ ব্যবস্থার বিভিন্ন স্টেশন এবং অন্যান্য সামরিক যুদ্ধাস্ত্র। মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টে অবশ্য বলা হয়নি, ঠিক কী ধরনের যুদ্ধবিমান বানাতে চলেছে চীন ও পাকিস্তান।

এই মুহূর্তে অত্যাধুনিক জে-২০ এবং জে-৩১ যুদ্ধবিমান বানাতে গবেষণা চালাচ্ছে চীন, যা অত্যাধুনিক মার্কিন বা রুশ যুদ্ধবিমানের সমকক্ষ। এর আগে জে এফ-১৭ নামের একটি অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের যুদ্ধবিমান বানাতে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে চীন।

পাকিস্তান পাঞ্জাবে আছে এই যুদ্ধবিমানের কারখানা। এখনও পর্যন্ত চীন বা পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে এই বিমান দেখা না গেলেও, দ্য উইক পত্রিকার দাবি, মিয়ানমারে চীনা সামরিক মহড়ায় উড়তে দেখা গিয়েছে জেএফ-১৭।

পাশাপাশি আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়াও এই বিমান কিনতে খুব সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। শুধু যুদ্ধবিমানই নয়, পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে অত্যাধুনিক উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সামরিক ডুবোজাহাজ তৈরির পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করে ফেলেছে চীন।

সে ক্ষেত্রে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের প্রান্তিক বন্দর গওদারকেই সামরিক ডুবোজাহাজের জ্বালানি ভরার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে বেইজিং।

উপরে