চাঁদের বুকে গাছ জন্মেছে, এবার চেষ্টা ফুলবাগানের
চাঁদের বুকে প্রথমবার কোনো গাছ জন্মাল চীন। চাঁদের অন্ধকার অংশে পাঠানো চীনের রোবটিক যান ‘চ্যাং-ই-৪’-এ করে নিয়ে যাওয়া তুলা বীজ থেকে চারা জন্মেছে।
মঙ্গলবার চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমেনিস্ট্রেশন (সিএনআইএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসি জানায়, চাঁদের আবহাওয়ায় প্রথমবার কোনো গাছের জন্ম মহাকাশ গবেষণার তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চ্যাং-ই-৪ স্পেসক্র্যাফটের পাটাতনে কয়েকটি তুলাগাছের চারা জন্ম নিয়েছে। এখন ফুলের চারা জন্মানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সিএনআইএ। পৃথিবী থেকে চাঁদের সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে ৩ জানুয়ারি নোঙর করে চ্যাং-ই-৪।
চাঁদে প্রাণের রহস্য নিয়ে গবেষণার জন্য এই চন্দ্রযান পাঠানো হয়েছে। এটি চাঁদের ওই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি ও বায়োলজিক্যাল পরীক্ষা চালাবে। এর আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গাছের চারা জন্ম নিয়েছে। তবে চাঁদে চারা জন্মানোর ঘটনা এটাই প্রথম।
এ সফলতা আগামী দিনে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে লালগ্রহে যাত্রা করবে মানুষ। এছাড়া এ সফলতা এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, আগামী দিনে মহাকাশ গবেষণায় থাকা বিজ্ঞানীরা নিজেদের খাদ্যের জন্য শস্য ফলাতে সক্ষম হবেন। পৃথিবী থেকে খাদ্য সরবরাহের জন্য বারবার ফিরে আসাও কমে যাবে। অস্ট্রেলিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানী ফ্রেড ওয়াটসন বলেন, এটি ভালো খবর। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা তাদের নিজেদের খাদ্য সেখানে ফলাতে পারবেন।
চীনের এ মিশনের মহাকাশযানটিতে করে তিন কেজি আলুর বীজ, ফুলের বীজও নেয়া হয়েছে, যা দিয়ে চাঁদে জীববিজ্ঞানের কিছু পরীক্ষা চালানো হবে। এখন ফুলের বীজ ফলানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সিএনআইএ। কৃত্রিম পরিবেশ তৈরির ‘চাঁদের ছোট জীবমণ্ডল’ নামের এই নকশা চীনের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনায় করা হয়েছে।