শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর প্রশান্ত মহাসাগরে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 11 February, 2019 18:45

কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী ৭ দিনে উধাও

কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী ৭ দিনে উধাও
মেইল রিপোর্ট :

কলম্বিয়ায় মাত্র সাত দিনে একটি নদী উধাও হয়ে গেছে। কাউকা নামের এই নদীটি কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। এটির দৈর্ঘ্য এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটার। এটি ম্যাগডালেনা নদীর সঙ্গে মিশেছে। কাউকার তীরে বাস করে প্রায় এক কোটি মানুষ। যা কলম্বিয়ার মোট জনসংখ্যার ৫ ভাগের একভাগ।

গত বছরের মে মাসে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছিল কলম্বিয়ায়। নদীর একটা জায়গায় একটা বিরাট বাঁধ দেয়া হচ্ছিল। এই বাঁধ নির্মাণের সময় সেখানে একটা বড় ত্রুটি দেখা দেয়। সেটির কারণে ভাটিতে হঠাৎ বন্যা হয়। হাজার হাজার মানুষ সেই বন্যায় তাদের বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়।

কিন্তু এরপর যা ঘটে তা বেশ নাটকীয়। এই বিরাট নদী হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাউকা নদীর পানি এতোটাই শুকিয়ে গেছে ফলে স্থানীয় হাইড্রোলজিস্টরা বলছেন, তারা এই নদীর পানিও আর মাপতে পারছেন না।

এর কারণ হিসেবে জানা যায়, কলম্বিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পুয়ের্তো ভালডিভিয়া এবং ইটুয়াংগো শহরের কাছে একটা বিরাট হাইড্রো-ইলেকট্রিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। সেটির জন্য কাউকা নদীতে বাঁধ দেয়া হচ্ছে।

গেল বছরের ৭ মে সেখানে পানি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য তৈরি টানেলের কাছে একটি বিরাট খাদ তৈরি হয়। একই সঙ্গে ভূমিধস শুরু হয়। ফলে টানেলগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। প্রকৌশলীরা অনেক চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেননি।

পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাঁধের অপর পাশে পানির চাপ বাড়তে থাকে। এই চাপ কমানোর কোনো উপায় তখন আর ছিল না। ফলে পুরো জলাধার পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

১০ দিন পর প্রচন্ড পানির চাপে একটি টানেলের মুখ আবার খুলে যায়। এরপর এতোটাই তীব্র বেগে ওই টানেল দিয়ে পানি ছুটতে থাকে যে, তা ভাটিতে ব্যাপক বন্যা তৈরি করে। ২৫ হাজার মানুষকে তখন জরুরি ভিত্তিতে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়।

পরে জলাধারের উচ্চতায় পানি পৌঁছানোর পর কিছু ফ্লাডগেট তৈরি করে সেখান দিয়ে এই পানি ছাড়া হয়। এর ফলে শুকনো মৌসুম শুরু হওয়া মাত্র পানির উচ্চতা নেমে যায় অনেক নিচে। ফলে নদীর অপরপাশে পানি ছাড়ার কোনো উপায় আর রইলো না।

পানি কমতে থাকায় এ বছরের ১৬ জানুয়ারি অপরপাশে অবমুক্ত করার পানির পরিমান নেমে আসলো প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ৩৯৫ কিউবিক মিটারে। আর ৫ ফেব্রুয়ারী একদম বন্ধ হয়ে গেল পানির স্রোত। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল কাউকা নদী।

উপরে