মাদুরোকে ১০ কোটি ডলার দেবে ২৫ দেশ
রাজনৈতিক ও আর্থিক সংকটে পড়ে চরম বিপর্যয়ে রয়েছে ভেনিজুয়েলা। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভেনিজুয়েলাকে ২৫টি দেশ ১০ কোটি ডলারের ত্রাণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন ভেনিজুয়েলার চলমান সংকট নিরসন সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সম্মেলন শেষে এ ঘোষণা আসে।
অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে ভেনিজুয়েলাকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বের ২৫টি দেশ।
ওএএসের কার্যকরী দলের সমন্বয়কারী ডেভিড স্মেলোনাস্কি বলেন, প্রাপ্ত অর্থ কলম্বিয়া, ব্রাজিল ও ক্যারাবিয়ান দ্বীপের কুরাজো সীমান্তে অবস্থিত ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে সরাসরি পৌঁছে দেয়া হবে।
ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদো নিজেকে ‘প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করা নিয়ে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে। একদিকে বিশ্বের কাছে ত্রাণ সহায়তা চাচ্ছেন গুইদো। অন্যদিকে দেশটিতে কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে পারবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মাদুরো। এতে দেশটির সংকট আরও বেড়ে গেছে।
এদিকে, গুইদোকে স্বীকৃতি দেয়ার পরও মাদুরো প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সরাসরি যোগাযোগ বিদ্যমান বলে জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি। মাদুরো প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ আরিয়েজার সঙ্গে ভেনিজুয়েলা বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত এলিয়ট আব্রামের অন্তত দুই দফা কয়েক ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
নিউইয়র্কে ‘কঠোর গোপনীয়তা’র মধ্যে এ বৈঠকগুলো হয়। প্রেসিডেন্ট মাদুরো এবং দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বৈঠকগুলোর কথা স্বীকার করেছেন। এসব বৈঠকে আরিয়েজা মার্কিন দূতকে ‘ব্যক্তিগতভাবে, সরকারিভাবে কিংবা গোপনে’ ভেনিজুয়েলা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
মাদুরো বলেছেন, ‘যদি আব্রাম দেখা করতে চান, তাহলে আমাকে শুধু বলুন কখন, কোথায় এবং কীভাবে সেখানে পৌঁছাতে হবে।’ আব্রাম ও আরিয়েজার সর্বশেষ বৈঠকটি গত সপ্তাহের সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভেনিজুয়েলার এক নেতা। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আব্রাম বলেছিলেন, ‘মাদুরোর সঙ্গে সংলাপের সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অন্য দেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। বিশেষ করে যখন আমরা আমাদের দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবব।’