শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 2 March, 2019 01:49

ভারত আমন্ত্রিত, ওআইসির বৈঠক বয়কট পাকিস্তানের

ভারত আমন্ত্রিত, ওআইসির বৈঠক বয়কট পাকিস্তানের
মেইল রিপোর্ট :

ভারতকে দেওয়া আমন্ত্রণ প্রত্যাহার না করায় ইসলামিক দেশগুলোর বৃহত্তম জোট ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক বয়কট করার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ কোরেশী।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে শুক্র ও শনিবার জোটটির পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ৪৬তম বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকে অংশ নিতে কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বোমা হামলার পর ইসলামাবাদ ওই আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাত তাতে সাড়া না দেওয়ায় আবু ধাবির বৈঠকে ‘যাচ্ছেন না’ বলে জানান কোরেশী।

শুক্রবার পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে তার এ ঘোষণার সময় সব দলের সাংসদরাই মুহুর্মুহু টেবিল চাপড়ে তার এ অবস্থানে সমর্থন দেন বলে জানিয়েছে ডন।

“আমি তাদের (সংযুক্ত আরব আমিরাত) সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে, যখন আমন্ত্রণ পাঠানো হয়, তখনও পুলওয়ামার ঘটনাটি ঘটেনি। সব দলের সমর্থনে পার্লামেন্ট একটি যৌথ প্রস্তাব পাস করেছে। ওই প্রস্তাবের আলোকে আমি আর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে যেতে পারছি না,” বলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে দেওয়া আমন্ত্রণ প্রত্যাহারে বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাকিস্তান একটি চিঠি পাঠিয়েছিল বলেও জানিয়েছে ডন।

চিঠিতে কোরেশী বলেছিলেন, “ভারতকে আমন্ত্রণের বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি এবং এটি ওআইসির পরিচালননীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জোটের অন্তত একটি প্রতিষ্ঠাতা দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্ব আছে, যা ওআইসির সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদেরকে অযোগ্য করেছে।”

চিঠিতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে পাস হওয়া যৌথ প্রস্তাবের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রস্তাবে ভারতকে ‘আগ্রাসী’ রাষ্ট্র অভিহিত করে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদে ওআইসির বৈঠক থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার সুপারিশ করেছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী না গেলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা ওই বৈঠকে থাকছেন বলেও কোরেশী জানিয়েছেন।

বিরোধীদলের নেতা শাহবাজ শরীফ পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ভিন্নমত জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি।

“বিচ্ছিন্নতা কোনো সমাধান হতে পারে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অবশ্যই ওআইসির বৈঠকে অংশ নেওয়া উচিত। পাকিস্তানের সেখানে প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত,” বলেছেন তিনি।

উপরে