উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গ্রেপ্তার
গত সাত বছর ধরে একুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে থাকা উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ।
সুইডেনে একটি ধর্ষণের মামলায় বিচার এড়াতে জামিনের শর্ত ভেঙে ব্রিটিশ পুলিশের নজরদারি থেকে পালিয়ে একুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ।
সুইডেনের সেই মামলা উঠে গেলেও ব্রিটিশ আইন ভাঙায় আবার গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে তিনি বের হতে পারছিলেন না।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পুলিশ এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছে। ব্রিটেনস্থ ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে সাত বছর পর অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করা হলো। এবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আদালতের সমনে হাজির না হওয়ার কারণে।
ব্রিটেনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ২০১২ সালে ইস্যু করা একটি ওয়ারেন্ট নিয়ে তাদের কর্মকর্তারা দূতাবাসে যায়। আদালতের ওই নির্দেশ পালন করে ‘আত্মসমর্পণে ব্যর্থ’ হওয়ায় সাত বছর ধরে ইকুয়েডরের দূতাবাসে বাস করা অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, অ্যাসাঞ্জকে আটক করে সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০১২ সাল থেকে ইকুয়েডরের দূতাবাসে বাস করছিলেন অস্ট্রেলিয়ান হুইসেলব্লোয়ার অ্যাসাঞ্জ। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাকে সুইডেনে প্রত্যাবর্তন করা হতে পারে এমন পরিস্থিতি এড়াতে তিনি ইকুয়েডরের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। পরে ইকুয়েডরের কর্তৃপক্ষ তাকে আশ্রয় দিলে তিনি ব্রিটেনস্থ ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন।
সুইডেনের ওই মামলা রফাদফা হয়ে গেলেও তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাবর্তন করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় তিনি ইকুয়েডরের দূতাবাসেই রয়ে যান।
ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জকে যতদ্রুত সম্ভব ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়া জাগানো বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস ২০১০ সালে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে। ওইসময় মার্কিন কূটনৈতিক নথি ফাঁসের মধ্য দিয়ে উইকিলিকস ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।