শ্রীলঙ্কায় নতুন দুটি বিস্ফোরণ, কারফিউ, নিহত ২০৭
শ্রীলঙ্কায় ছয় স্থানে সিরিজ বোমা হামলার পর রাজধানী কলম্বোতে নতুন করে আরো দুটি বিস্ফোরণ হয়েছে।
রোববার দেশটির তিনটি চার্চ ও তিন হোটেলে ছয়টি বিস্ফোরণে বহু হতাহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নতুন বিস্ফোরণ দুটি ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটিতে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।
এ নিয়ে দেশটিতে আট বিস্ফোরণে ২০৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০০ জন।
সপ্তম বিস্ফোরণটি ঘটে কলম্বোতে অবস্থিত দেশটির জাতীয় জাদুঘরের কাছে একটি হোটেলে। ওই ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। অষ্টম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে কলম্বোর উত্তরে ওরুগদাওয়াত্তা উপশহরে।
পরের দুটি হামলার লক্ষ্য কী ছিল তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।
রোববার ছিল খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে। এ দিন সকালে প্রথমে শ্রীলঙ্কার তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কলম্বো পেজ অনলাইন পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কোচচিকাদ ও নেগোম্বো এলাকার সেন্ট অ্যান্থনি গির্জা এবং কাতুওয়াপিতিয়া এলাকার সেন্ট সেবেস্তিয়ান গির্জায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে একযোগে বোমা বিস্ফোরিত হয়।
প্রায় একই সময় কলম্বোর তিনটি পাঁচ তারকা হোটেল- শাংরি লা, চিনামন গ্রান্ড ও কিংসবারিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত ও আহতদের মধ্যে অনেক বিদেশি রয়েছেন।
প্রথম বিস্ফোরণের খবর আসে কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গির্জা এবং কাতুওয়াপিতিয়া এলাকার সেন্ট সেবেস্তিয়ান গির্জা থেকে।
সেন্ট সেবেস্তিয়ান গির্জার ফেসবুক পেজে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমাদের গির্জায় বোমা হামলা হয়েছে। আপনার পরিবারের সদস্যরা সেখানে দয়া করে আসুন।’ এরপরই পুলিশের কাছে আরো চারটি স্থানে বিস্ফোরণের খবর আসে।
বাত্তিকালোয়ার হাসাপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর হাসপাতালে চার শতাধিক লোককে ভর্তি করা হয়েছে।