চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধে লাভ ভিয়েতনামের
বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে চীনে কার্যক্রম চালানো কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে এখন বাড়তি শুল্কের খড়গে পড়ে বেশ চাপের মুখে আছে।
সারা বিশ্বই যখন এ শুল্কযুদ্ধ নিয়ে ত্রস্থ তখন, এতে অভিনব উপায়ে লাভবান হচ্ছে পূর্ব এশিয়ার ভিয়েতনাম।
চীনে পণ্য উৎপাদকদের রীতিমতো প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে যেন তারা দ্রুত তাদের কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক প্রভাবিত করবে না এমন দেশে সরিয়ে নেয়। আর এমন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম চীনের প্রতিবেশী ভিয়েতনাম। ব্যবসাবান্ধব হিসেবে দেশটি ইতিমধ্যেই বেশ জায়গা করে নিয়েছে।
এখন চীনা বিনিয়োগের গন্তব্যও তাই ভিয়েতনাম। অবশ্য বিদেশি কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন ধরে ভিয়েতনামের সস্তা শ্রম আর চমৎকার ব্যবসা পরিবেশের সুফল নিচ্ছিল। মার্কিন থিংক ট্যাংক পিটারসন ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের ম্যারি লাভলির মতে, চীনে শ্রমের মজুরি অনেক বেড়ে যাওয়ায় ভিয়েতনাম তার সুফল পেতে শুরু করেছে। তার পরও দেখা যাচ্ছে, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করলে চীনা বিনিয়োগ আরও বেশি ভিয়েতনামের দিকে ধাবিত হতে শুরু করে।
গত এক দশকে ভিয়েতনামের অর্থনীতিও বেশ দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে। বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি খুব ভালো করছে। কর্পোরেট ল’ ফার্ম বেকার অ্যান্ড ম্যাকেঞ্জি বলছে, চীনের অনেক কোম্পানি চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের আগেই দেশের বাইরে বিনিয়োগ করে আসছে।
সাম্প্রতিক বাণিজ্য দ্বন্দ্ব এ প্রবণতাকে আরও উস্কে দিয়েছে।
আইএলওর হিসাবে, ২০১৮ সালে ভিয়েতনামের কর্মরত শ্রমিক ছিল প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ। শ্রম খরচ সে দেশটিতেও বাড়ছে, কিন্তু তার পরও সেটি চীনের তুলনায় অনেক কম। আবার জমি ও খরচের দিক থেকেও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সক্ষমতাও বাড়ছে ভিয়েতনামের।