শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 4 September, 2019 22:06

হংকংয়ে বিক্ষোভের মুখে প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের ঘোষণা

হংকংয়ে বিক্ষোভের মুখে প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের ঘোষণা
মেইল রিপোর্ট :
চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা আন্দোলন ও বিক্ষোভের মুখে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হংকংয়ের নির্বাহী ক্যারি ল্যাম এ ঘোষণা দেন। এর আগে বিলটি পাসের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল।

ল্যাম বলেন, জনগণের উদ্বেগ নিরসনে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিল প্রত্যাহার করবে।

বুধবার কেন্দ্রীয় (চীন) পার্লামেন্টে (ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস) হংকং প্রতিনিধিদল ও বেইজিংপন্থি সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন ল্যাম। সেখানেই প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রত্যর্পণ বিল অনুযায়ী, বেইজিং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান থেকে পালিয়ে যাওয়া হংকংয়ের কোনো সন্দেহভাজন বাসিন্দাকে বিচারের উদ্দেশ্যে ফেরত চাইলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রের কাছে ওই ব্যক্তিকে সমর্পণ করতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু আন্দোলনাকারীদের মতে, এ আইন পাস হলে হংকংয়ের নিজস্ব বিচারব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। শুধু তাই নয়, এতে তাদের ওপর চীনা হস্তক্ষেপও বাড়বে।

অভিযোগ আছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক তরুণ তাইওয়ানে এক নারীকে হত্যা করে হংকংয়ে পালিয়ে যান। সে ঘটনায় তিনি হংকং কারাগারে আছেন। অপরাধস্থল তাইওয়ান হওয়ায় বিচারের জন্য সেখানকার কর্তৃপক্ষ হংকংয়ের কাছে ওই তরুণকে ফেরত চায়। কিন্তু হংকং থেকে তাইওয়ানে অপরাধী প্রত্যর্পণ বিষয়ক কোনো আইন না থাকায় নতুন করে আইন পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন হংকংয়ের মানুষেরা। পরে তারা গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন আরও বেগবান করেন।

শেষ পর্যন্ত বেইজিংপন্থি প্রশাসনের এই ঘোষণায় আন্দোলনকারীরা দমবেন কি-না, তা সময়ই বলে দেবে।

উপরে