চাঁদে অবতরণ করতে যাচ্ছে চন্দ্রযান-২
শুক্রবার ভারতের স্থানীয় সময় রাত ১টা থেকে এই অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ভারতের এই মহাকাশ যানটির ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এর আগে বিশ্বের তিনটি দেশ –যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন চাঁদে সফলভাবে তাদের মহাকাশ যান পাঠালেও দক্ষিণ মেরুতে কেউ পাঠায়নি।
শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক হবে কিনা তা নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক উদ্বিগ্ন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। কোথাও ছোট কোনো ভুলও ডেকে আনতে পারে বড় বিপর্যয়- এমন কথাই জানিয়েছেন ইসরো প্রধান ড. কে শিবন।
২২ জুলাই সকালে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-২।
শুক্রবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে ‘টাচ ডাউন’। আর শনিবার সকাল ৬ টা নাগাদ ল্যান্ডারের ভেতর থেকে বেরোনোর কথা রোভার প্রজ্ঞানের।
চাঁদের মাটিতে আদৌ পানি আছে কিনা, চাঁদ ভবিষ্যতে বিপুল খনিজের উৎস হতে পারবে কিনা-এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সেখানে গেছে চন্দ্রযান-২। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতই প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এ চন্দ্রযান পাঠিয়েছে।
উৎক্ষেপণের পর যানটি পৃথিবীর কক্ষপথ ভেদ করে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে সময় লেগেছে পাঁচ দিন। পেরতে হয়েছে প্রায় ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার পথ। এবার চাঁদে নামার পালা।
এ চন্দ্রযানের তিনটি ভাগ। অরবিটার বা কৃত্রিম উপগ্রহ, যা চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে। ল্যান্ডার, যেটি চন্দ্রযানকে চাঁদের মাটিতে নামাবে এবং নামবে এবং রোভার, যেটি চাঁদের মাটিতে পানি ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ সন্ধান করবে।
স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ছেড়ে আলাদা হওয়া থেকে চাঁদে অবতরণ, এ সময়টি বিজ্ঞানীদের কাছে ‘ভয়ঙ্কর ১৫ মিনিট’। এরই মধ্যে চন্দ্রযান-২ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চাঁদের চারপাশ দু-বার প্রদক্ষিণ করেছে বিক্রম ল্যান্ডার।
বেঙ্গালুরুতে মধ্যরাতে ইসরোর সদরদপ্তর থেকে এ ল্যান্ডারের চাঁদের বুকে নামার দৃশ্য দেখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিযান সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পর ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে পা রাখবে।
এর আগে চন্দ্রযান-১ অভিযান চালিয়েছিল ইসরো। সে অভিযানের মেয়াদ ছিল ৪ মাস। আর চন্দ্রযান-২ এর অভিযানের মেয়াদ হচ্ছে ১ বছর। চন্দ্রযান-১ দক্ষিণ মেরুতে যাওয়ার সময়ই ধ্বংস হয়েছিল।