শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 11 September, 2019 00:00

বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করছেন একজন

বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করছেন একজন
মেইল রিপোর্ট :

বিশ্বজুড়ে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহননের পথ বেঁছে নিচ্ছেন আর প্রতি বছর আত্মহত্যায় যুদ্ধের চেয়েও বেশি লোক মারা যায়। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বৈশ্বিক আত্মহত্যার হার ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। তবে অঞ্চল হিসেবে এই হার বেড়েছে শুধু আমেরিকা অঞ্চলে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা হু গোটা বিশ্বের আত্মহত্যার ঘটনা বিশ্লেষণ করে জানায়, প্রতিবছর যুদ্ধের কবলে পড়ে যত মানুষের প্রাণহানি ঘটে তার চেয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি।

হু বলছে, এটা গোটা বিশ্বের জন্য একটি মারাত্মক ইস্যু। মাত্র ৩৮টি দেশে আত্মহত্যা প্রতিরোধে কৌশল গ্রহণ করেছে। গোটা বিশ্বে নারীর চেয়ে পুরুষরা বেশি আত্মহত্যা করে। প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে ৭.৫ জন আত্মহত্যা করে। পুরুষের ক্ষেত্রে সেটি ১৩.৭ জন। শুধু বাংলাদেশ, চীন, লেসোথো, মরক্কো এবং মিয়ানমারে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্বের সকল দেশকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আত্মহত্যা কোনো অপ্রতিরোধযোগ্য বিষয় নয়। সবাই চাইলে এ মৃত্যুকে প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু এর জন্য দরকার সদিচ্ছা এবং যথাযথ পদক্ষেপ।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গলায় ফাঁস দিয়ে, বিষ খেয়ে ও নিজেকে গুলি করে মেরে ফেলাই আত্মহত্যার সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি। জনগণকে চাপ সামলাতে সহযোগিতা করার মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতা হ্রাসে আত্মহত্যা প্রতিরোধ পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হু।

আত্মহত্যা সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক ডা. টেডরোস আধানোম গেব্রিয়েসুস বলেন, প্রতিটি মৃত্যুই পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের জন্য শোকের কারণ। তবে আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। আমরা প্রতিটি দেশকে আহ্বান জানাই যেন তারা জাতীয় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নীতিতে আত্মহত্যা প্রতিরোধে টেকসই কর্মসূচি গ্রহণ করে।

উপরে