কঙ্গোয় সশস্ত্র হামলায় শিশুসহ অন্তত ২৮ বাস্তুহারা নিহত
কঙ্গোতে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তি মিশন ‘এমওএনইউএসসিও’ (মোনাস্কো) কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানায়।
জানা গেছে, গত দুই দিনে ইতুরির বিভিন্ন গ্রামের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রিত মানুষজনকে লক্ষ্য করে সশস্ত্র হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। এ সময় মনুস্কোর একটি অস্থায়ী ক্যাম্পেও হামলা হয়। সম্প্রতি কৃষক ও যাযাবর গোত্রের মধ্যে হওয়া দাঙ্গায় এসব মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন।
হামলাগুলোতে প্রধানত হেমা গোত্রের যাযাবরদের লক্ষ্য করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব ও পশুচারণভূমির ওপর নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে এ গোষ্ঠীর সঙ্গে লেন্দু কৃষক সম্প্রদায়ের সংঘাত চলছে। যদিও ঠিক কারা সর্ব শেষ হামলাগুলো চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
চলতি বছরের জুন থেকে এখন পর্যন্ত কঙ্গোতে জাতিগত দাঙ্গায় অন্তত ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যত হয়েছেন অন্তত ৩ লাখ।
এর আগে ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পূর্ব কঙ্গোয় হেমা ও লেন্দু গোত্রের মধ্যে চলা দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে ৫০ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়। এছাড়া এর ফলে ক্ষুধা ও রোগে ভুগে মারা যায় আরও লাখ লাখ মানুষ।
২০১৭ সাল থেকে আবারও দুই গোত্রের মধ্যে ছোটখাটো সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এসবের বলি হয়ে এখন পর্যন্ত শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচিত দেশটির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স তাসিসেকেদি অবশ্য এখানকার অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। এ অঞ্চলে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। ফেলিক্স সরকারের পদক্ষেপে এরই মধ্যে অনেক মিলিশিয়া নেতাই আত্মসমর্পণ করেছে। এর বাইরেও অনেকেই বিভিন্ন অভিযানে আটক কিংবা নিহত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশেষ করে উত্তর কিভু ও দক্ষিণ ইতুরি অঞ্চলে নানা মাত্রায় সহিংসতা বিরাজমান।