ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা
জ্বালানি তেলে ভর্তুকি প্রত্যাহারের দাবিতে সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট লেলিন মোরেনো।
বৃহস্পতিবার এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
গত ৪০ বছর ধরে জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিয়ে আসছে ইকুয়েডর সরকার। ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসা মোরেনো সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, উচ্চমাত্রার এই ভর্তুকি অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলছে এবং বিক্ষোভকারীদের ইকুয়েডর অচল করে দেওয়া মেনে নেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের ফলে দেশটিতে ডিজেলের দাম ১ দশমিক ০৩ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার আদিবাসী, শিক্ষার্থী ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলো সড়কে পাথর ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং টায়ারে অগ্নিংযোগ করে। রাজধানী কুইটোতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।
প্রেসিডেন্ট লেলিন মোরেনো বলেছেন, ‘নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বিশৃ্ঙ্খলা এড়াতে আমি জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছি। দেশের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস আমার আছে।’