শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো শিশুর শরীরে ‘বার্ড ফ্লু’ শনাক্ত টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে’— ইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 9 October, 2019 17:13

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির গবেষণায় তিন বিজ্ঞানীর রসায়নের নোবেল জয়

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির গবেষণায় তিন বিজ্ঞানীর রসায়নের নোবেল জয়
মেইল রিপোর্ট :

রিচার্জেবল ব্যাটারি হিসেবে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরি করে এবছর রসায়নে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানের তিন রসায়নবিদ। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় রসায়নে এ তিন বিজ্ঞানীর নোবেল জয়ের ঘোষণা দিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি।

রসায়নের নোবেল জয়ী এ তিন বিজ্ঞানী হলেন, জার্মান বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন বি গুডনাফ, যুক্তরাজ্যের বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ এম স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম ও জাপানের মিজো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ আকিরা ইয়োশিনো। পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বলছে, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এ তিন বিজ্ঞানী। ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম প্রথম কার্যকরী লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরি করেন। ব্যাটারি থেকে ইলেকট্রন ত্যাগের জন্য প্রচুর লিথিয়াম ব্যবহার করা হয়।

জন বি গুডনাফ লিথিয়াম ব্যাটারির সম্ভাবনাকে দ্বিগুণ করেন; তিনি আরও বেশি শক্তিশালী এবং কার্যকর ব্যাটারির জন্য সঠিক অবস্থা তৈরি করেন। আকিরা ইয়োশিনো সেই ব্যাটারি থেকে সম্পূর্ণ লিথিয়াম আয়নের ওপর নির্ভরতার পরিবর্তে লিথিয়াম পুরোপুরি বিনাশ করতে সক্ষম হন; যা লিথিয়াম থেকে অধিক নিরাপদ করে তোলে এই ব্যাটারিকে।

১৯০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রসায়নে ১১০ বার নোবেল পুরস্কার দিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি। একমাত্র রসায়নবিদ হিসেবে রসায়নে দুবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফ্রেডরিক স্যানগার। ইনসুলিনের গঠন নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৫৮ সালে প্রথম এবং ডিএনএ সিকোয়েন্সিং নিয়ে কাজ করে ১৯৮০ সালে দ্বিতীয়বার রসায়নে নোবেল পান তিনি।

১৯১১ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ম্যারি কুরি; এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র নারী, যিনি রসায়নে নোবেল পাওয়ার আগে পদার্থের নোবেল পেয়েছিলেন।

গত বছর নতুন ধরনের রাসায়নিকের জন্য এনজাইমের উৎপাদন ও পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়ার গবেষণা করে
রসায়নের নোবেল জয় করেন মার্কিন নারী রসায়নবিদ ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড ও জর্জ পি স্মিথ এবং ব্রিটিশ রসায়নবিদ স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার।

নতুন নতুন উদ্ভাবন, গবেষণা এবং মানব জাতির কল্যাণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২২৩ জন ব্যক্তি ও ৭৮টি প্রতিষ্ঠান নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে।

নোবেল কমিটিগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী- ১০ অক্টোবর বিকেল ৫টায় দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি থেকে সাহিত্য এবং ১১ অক্টোবর নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে, ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে।

উপরে