শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 24 October, 2019 13:44

ব্রেক্সিট পেছালে নির্বাচন ডাকবেন বরিস

ব্রেক্সিট পেছালে নির্বাচন ডাকবেন বরিস
মেইল রিপোর্ট :

ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেয়া হলে বড় দিনের আগেই সাধারণ নির্বাচন ডাকবেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

 

৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরের শেষ সময় হলেও পার্লামেন্টের বিরোধীতার কারণে তা পেছাতে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে ব্রেক্সিট কার্যকরে গত মঙ্গলবার ব্রেক্সিট চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়ে আলোচনার জন্য তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বরিস। তবে পার্লামেন্টে তা প্রত্যাখ্যাত হয়।

এ অবস্থায় ইইউ নেতারা বিবেচনা করে দেখছেন ব্রেক্সিটের সময় ৩১ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে দেয়া যায় কিনা বা সময় কতদিন বাড়ানো যায় সেটি।

জনসন আইনের কারণে ইইউ এর কাছে ব্রেক্সিটে তিন মাস দেরির অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখতে বাধ্য হলেও জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাজ্য ৩১ অক্টোবরেই ইইউ ত্যাগ করবে।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক এক টুইট বার্তায় বলেছেন, তিনি ইইউ নেতাদেরকে ব্রেক্সিটে দেরি করার প্রস্তাবে সমর্থন দেয়ার সুপারিশ করছেন।

ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রেক্সিটে তিনমাস দেরি মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে দ্রুত ব্রেক্সিট বিল পাস করাতে পারলে আরো আগেই তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগও রাখা হবে।

তাছাড়া, ফ্রান্সের মতো কয়েকটি ইইউ দেশ মাত্র কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের জন্য ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর দাবি জানাতে পারে সে সম্ভাবনাও আছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র বলেছেন, ইইউ জানুয়ারির শেষ নাগাদ দেরি করার প্রস্তাব দিলে যুক্তরাজ্যে নির্বাচন করাটাই দরকার হয়ে পড়বে। আর তা হতে পারে ক্রিসমাসের আগেই।

তবে জনসন সাধারণ নির্বাচন চাইলেও তা তিনি সহজেই ডাকতে পারবেন না। তার এ পদক্ষেপে পার্লামেন্টের সমর্থন লাগবে। বিরোধীদলীয় এমপি’রা এর আগেও ৩১ অক্টোবরে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন।

বিচারমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড বিবিসি ব্রেকফাস্ট টিভি প্রোগ্রামে বলেছেন, সাধারণ নির্বাচনই এ অচলাবস্থা থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন তিনি।

অন্যদিকে, বিরোধী লেবার পার্টির রিচার্ড বারগন বিবিসি রেডিও ফোর’স টুডে প্রোগামে বলেছেন, ইইউ ব্রেক্সিটের সময় বাড়ালে তার দল সাধারণ নির্বাচনে রাজি হবে। কারণ, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা তখন আর থাকবে না।

উপরে