আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় কানাডার সমর্থন
রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার করা মামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে কানাডা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এক বিবৃতিতে এ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
সোমবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে ওআইসিভুক্ত দেশ গাম্বিয়া।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের জন্য সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এই এরমধ্য দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড জানান, গাম্বিয়ার আইনি পদক্ষেপে কানাডা সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন,‘আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটনে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি অবসানে কানাডা সমমনা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবে, যাতে এই বর্বরকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত ও বেঁচে যাওয়াদের বিচার প্রদানের মাধ্যমে মিয়ানমারে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পুনর্মিলন ঘটানো যায়।’
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। প্রাণে বাঁচতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে শুরু করে। এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ তুলে ধরা হয়। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ওপর এই নিপীড়নকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রসঙ্গত, গাম্বিয়া ও মিয়ানমার দু'দেশেই ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ। মূলত জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি হয়েছে বলে ১০টি বেসরকারি সংস্থার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। যেসব বেসরকারি সংস্থা এ উদ্যোগকে সমর্থন করছে তাদের মধ্যে আছে নো পিস উইদাউট জাস্টিস, ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর কন্সটিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস, দি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টারে ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে প্রথম জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা হয় সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে এবং তাতে প্রমাণ হয়েছিলো যে বসনিয়া হার্জেগোভিনিয়ায় গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছিলো সার্বিয়া।