শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 29 November, 2019 03:32

ইরাকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা

ইরাকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা
মেইল রিপোর্ট :

ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নতুন করে সহিংসতায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৭০ জন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ইরাকের সেনাবাহিনী এ সংবাদ জানিয়েছে।

এর আগে, চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, দুর্নীতি নির্মূল ও সরকারি সেবার মান উন্নয়নের দাবিতে রাস্তায় নামেন ইরাকের হাজার হাজার নাগরিক। তারা নাসিরিয়া অঞ্চলের দুইটি ব্রিজ আটকে রাখার পর সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

এদিকে, ইরাকের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই সংকট মোকাবিলা করতে ‘ক্রাইসিস সেল’ গঠন করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা দমন করে পুনরায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই ইরাকের সেনাবাহিনী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ইরাকের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহাদির নির্দেশক্রমে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীর কয়েকজন কমান্ডারকে নতুন দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাজ হবে ওই সব এলাকায় নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গভর্নরদের সাহায্য সহযোগিতা করা।

জানা গেছে, নাসিরিয়া শহর এখনও বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা রাস্তায় পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো  সদস্যকে দেখলেই তারা ধাওয়া দিচ্ছে।

ইরাকের সরকারবিরোধী আন্দোলনগুলো মূলত ওই দেশের রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশনায়ই পরিচালিত হয়। আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেক নেতা ইরাকের অভ্যন্তরীন বিষয়ে ইরানের প্রভাবের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করেছেন, ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির সময় মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের পর থেকেই এ অবস্থা শুরু হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। এমনকি নাজাফ শহরের ইরানি কনস্যুলেটে বুধবার (২৭ নভেম্বর) আক্রমণ চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

আন্দোলনকারীদের অনেকেই দাবি করেছেন ইরাকি সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির পেছনে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

উপরে