শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির বাংলোয় আছেন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দাঁতভাঙা জবাব পাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 6 January, 2020 01:58

মার্কিন সেনা বহিষ্কারে ইরাকের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

মার্কিন সেনা বহিষ্কারে ইরাকের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
মেইল রিপোর্ট :

ইরাকে বিভিন্ন ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনাদের অবস্থান বন্ধ করতে দেশটির পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাবনা পাশ করা হয়েছে। রাজধানী বাগদাদে মার্কিন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলায়মানির নিহতের ঘটনার পর পরই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ইরাকি আইনপ্রণেতারা।  

স্থানীয় সময় রোববার (৫ জানুয়ারি) ইরাকি পার্লামেন্টের একটি বিশেষ অধিবেশনে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধিবেশনে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কাছে ইরাকের সহায়তা চাওয়া বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাগদাদে কাসেম সোলায়মানি হত্যার পর এই বিশেষ অধিবেষন ডাকা হয়। বর্তমানে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য রয়েছে।  

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইরাকে পার্লামেন্টে গৃহীত প্রস্তাবনাগুলো মেনে নেওয়া সাধারণত দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার ইচ্ছাধীন একটি বিষয়। তবে এই প্রস্তাবনা ইতিবাচক পরিণতি পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এর আগে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি দেশটি থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব এনেছিলেন। 

আবদুল মাহদির পর ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন হাদি আল-আমিরি। তিনিও শনিবার (৪ জানুয়ারি) মার্কিন সেনাদের ইরাক ত্যাগের পক্ষে নিজের মত দিয়েছেন।  

আজ পার্লামেন্টে বৈঠকের আগে শিয়া আইনপ্রণেতা এবং লিগ্যাল কমিটির সদস্য আম্মার আল-শিবলি বলেন, "দায়েশকে (আইএস) নির্মূলের পর ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থানের আর কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, যেটি দেশ রক্ষায় সমর্থ।"   

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক দশকের পর দশক ধরে চলছে। তবে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী শিয়া গোষ্ঠীগুলো। 

ইরাকের এসব শিয়া গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শুক্রবার নিহত সোলায়মানির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সাদ্দাম হোসেন পরবর্তী ইরাকে ইরানের প্রভাব বিস্তার করতে তিনি সব সময় যোগাযোগ রাখতেন তাদের সঙ্গে। এমনকি হামলায় নিহতের সময় সোলায়মানির সঙ্গে থাকা ইরাকের হাশদ আশ-শাবি বাহিনীর উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিসেরও মৃত্যু হয়। তাই শিয়া গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় সোলায়মানি হত্যায় ক্ষুব্ধ হয় তারা।  

উপরে