শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো শিশুর শরীরে ‘বার্ড ফ্লু’ শনাক্ত টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 21 January, 2020 01:58

যুদ্ধ বন্ধ করে লিবিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় একমত বিশ্বনেতারা

যুদ্ধ বন্ধ করে লিবিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় একমত বিশ্বনেতারা
মেইল রিপোর্ট :

লিবিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছেন বিশ্বনেতারা। গৃহযুদ্ধে অবৈধ বিদেশি হস্তক্ষেপের ইতি টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর ওপর অস্ত্র ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ কথার বলেছেন তারা।গৃহযুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে নিজেরা জাতিসংঘ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন।

লিবিয়া ইস্যুতে রোববার জার্মানির বার্লিনে শান্তি সম্মেলনে ত্রিপোলির বিবদমান দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিশ্বনেতারা এ অঙ্গীকার করেন।

এ ব্যাপারে একটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছে তুরস্ক, রাশিয়া ও ফ্রান্স। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেন, লিবিয়ায় কিছু তুর্কি সামরিক উপদেষ্টা পাঠানো হয়েছে। আলোচনার অন্য পক্ষগুলো চুক্তি মেনে চললে তিনিও মেনে চলবেন। তিনি সেনা পাঠাবে না। 

লিবিয়ার শান্তি ফেরাতে রোববার জার্মানির বার্লিনে আন্তর্জাতিক লিবিয়া সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা জার্মানির চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মার্কেল। লিবিয়ার যুদ্ধরত দুই পক্ষসহ এতে যোগ দেয় ১০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বার্লিনের চ্যান্সেলর ভবনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল, বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে যে হানাহানি ও গৃহযুদ্ধ চলেছে, তার অবসান ঘটানো। এ ছাড়া লিবিয়ায় সম্প্রতি গৃহীত যুদ্ধবিরতিকে সুসংহত করা ও বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হওয়া।

লিবিয়ার ক্ষমতাশালী জেনারেল খলিফা হাফতার ও জাতিসংঘ সমর্থিত গভমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ)-এ দুই পক্ষই সম্মেলনে উপস্থিত থাকলেও প্রতিনিধিরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করেননি।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জলা মার্কেল অবশ্য জানিয়েছেন, বিবদমান এই দুই পক্ষ পরস্পর আলোচনায় বসেনি বলে উপস্থিত অন্য পক্ষগুলো সম্মেলনের বিষয়ে তাদেরকে ব্রিফ করেছে এবং তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসেছে।

তিনি বলেন, কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, রাজনৈতিক উপায়ে লিবিয়া সংকটের সমাধান চান তিনি।

সম্মেলন শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, লিবিয়ার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বনেতারা ‘পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

ওই সময় লিবিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধের অবসানে বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধের কথা জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা।

উপরে