নাইজেরিয়ায় মহামারী আকারে ‘লাসসা জ্বর’, ৭০ জনের মৃত্যু
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছে আরেক ভাইরাস। আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া ‘লাসসা জ্বরে’ অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে এর মধ্যেই ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অন্তত সাড়ে ৪০০ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
নাইজেরিয়ার দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (এনসিডিসি) এই তথ্য জানিয়েছে।
এনসিডিসি জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার তিনটি প্রদেশে লাসসা জ্বর ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রদেশগুলো হলো- অন্ডো, ডেলটা ও কাদুনা। এই তিনটি প্রদেশে এখন পর্যন্ত ৪৭২ জন লাসসা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তিনজন মেডিকেল কর্মীও নতুন এই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, খাবার, মলমূত্র ও গৃহস্থালির তৈজসপত্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে লাসসা জ্বর ছড়ায়। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই জ্বর প্রাণঘাতী নয়। এই জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাথাব্যথা, মুখে ঘা, মাংসপেশিতে ব্যথা ও ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়। এ ছাড়া অনেক সময় এই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর কিডনিও অকেজো হয়ে যায়। যথাসময়ে চিকিৎসা না দিলে মৃত্যু অবধারিত হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, লাসসা জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে ৬ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত আলাদা স্থানে রাখা হয়। কেননা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলেই অন্যদের মধ্যে রোগটি সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, এই রোগে আক্রান্ত হওয়া মাত্রই চিকিৎসা নিতে হবে। লাসসা জ্বরে রিভাভিরিন এন্টিভাইরাল ওষুধ ভালো কাজে দেয়। তবে রোগটি ধরা পড়া মাত্রই এই চিকিৎসা দিতে হবে।