শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 2 May, 2020 22:44

আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা জোটের প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাস চীনের ষড়যন্ত্র

আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা জোটের প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাস চীনের ষড়যন্ত্র
চীনের উহান ল্যাব

বিশেষ প্রতিনিধি: 
"ফাইভ আইস" নামের পাঁচ দেশের গোয়েন্দা জোট একটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে চীন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এক মানবদেহ থেকে আরেক মানবদেহে সংক্রমনে সক্ষম এই ভাইরাসটির ভ্যাকসিন যাতে আবিষ্কার করতে না পারে এজন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে ভারাসের নমুনা দিতেও অস্বীকার করে চীন। উহানের ল্যাব থেকে মরণব্যাধী এই ভাইরাস ছড়ানো একটি ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করা হয়েছে যৌথ ওই  আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা রিপোর্টে।
করোনা ভাইরাসটি কিভাবে ছড়িয়েছে তা নিয়ে বিশ্বের পাঁচটি শীর্ষস্থানীয় ইংলিশভাষী দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডার যৌথ গোয়েন্দা জোট দীর্ঘ তদন্তের পর বিস্তারিত এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে এই ঘটনাকে চীনের “আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতার উপর হামলা“ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
বোমা ফাঁটানো ১৫ পৃষ্ঠার এই গোয়েন্দা নথিতে বলা হয়েছে যে, ভাইরাসটি “উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি“ থেকে ছড়িয়েছে। তবে এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসাবে প্রত্যাখ্যান করে চীন দাবি করেছে-ভাইরাসটি স্থানীয় বাজার থেকে ছড়িয়েছে।
"একই সময়ে, একটি সিনিয়র গোয়েন্দা সূত্র ফক্স নিউজকে বলেছে যে বিশ্বের বেশিরভাগ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিশ্বাস করে যে COVID-19 উহান ল্যাব থেকে তৈরি  হয়েছিল, তবে এটি দুর্ঘটনাক্রমে ছড়িয়েছে।" আমেরিকার বিখ্যাত ট্যাবলয়েট নিউ ইয়র্ক পোস্ট শনিবার বিষয়টি নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 
আন্তর্জাতিক এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীন কীভাবে সারা বিশ্বে এই মহামারীটি ছড়িয়ে দিয়েছিল। এবং ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে কথিত সেই বাজারের স্টলগুলি ব্লিচ করা ও ধুয়ে পরিষ্কার করার নাটক করেছে। আর বিভিন্ন দেশকে ভাইরাসটির নমুনা দিতে অস্বীকার করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং ভাইরাস সম্পর্কিত ইন্টারনেট সার্ফিং বন্ধ করতে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সার্চ ইঞ্জিনগুলি সেন্সর করা শুরু করেছিল। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুরু থেকেই চীনের দাবির সাথে চলছিল এবং প্রতিবেশী দেশগুলির উদ্বেগ সত্ত্বেও ভাইরাসটির মানব-থেকে মানব দেহে সংক্রমণকে অস্বীকার করেছে। গোয়েন্দা জোট বলেছে, চীনের কাছে "ডিসেম্বরের প্রথম দিক থেকে মানব-মানব দেহে সংক্রমণের প্রমাণ রয়েছে", তবে ২০ জানুয়ারী পর্যন্ত এইভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে তা অস্বীকার করেছে চীন ।

নথিতে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে চীন দেশজুড়ে ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলি তা অব্যাহত রাখতে বলেছে।

উপরে