শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর পদত্যাগ করতে ট্রুডোকে নিজ দলের সংসদ সদস্যদের চাপ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 29 May, 2020 00:04

লিবিয়ায় জিম্মি ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০জনকে গুলি করে হত্যা

লিবিয়ায় জিম্মি ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০জনকে গুলি করে হত্যা

মেইল রিপোর্ট:

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে স্থানীয় এক মানবপাচারকারীর পরিবারের সদস্যরা। বাকি চারজন আফ্রিকারই নাগরিক। এই ঘটনায় আরও ১১ জন বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে তারা মানবপাচারকারীদের কাছে জিম্মি ছিলেন।

লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। দেশটির ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য লিবিয়া অবজারভার বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, নিহত বাংলাদেশিরা মিজদা শহরে ওই মানবপাচারকারীর জিম্মায় ছিলেন। তাকে আগেই হত্যা করা হয়। 

লিবিয়া প্রবাসী কল্যাণ ফোরামের ফেসবুক পেজেও এই খবর দেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পাচারকারী মঙ্গলবার রাতে অভিবাসীদের হাতে কোনোভাবে খুন হন। সেই মৃত্যুর দায় এই অভিবাসীদের ওপর চাপিয়েছে তার স্বজনেরা। প্রতিশোধ নিতেই  তার সহযোগী এবং আত্মীয়স্বজনেরা জিম্মি অভিবাসীদের ক্যাম্পে নির্বিচারে গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জন মারা যান।

লিবিয়া-ভিত্তিক অভিবাসীদের আন্তর্জাতিক সংস্থার মুখপাত্র সাফা মেশেলি ভুক্তভোগীদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এই মাত্র খবরটি পেলাম। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। যারা হাসপাতালে আছেন তাদের সাহায্য করছি।’

তেলসমৃদ্ধ অর্থনীতির কারণে অভিবাসীদের কাছে লিবিয়া অন্যতম ‘আকর্ষণীয়’ একটা দেশ। গাদ্দাফি পরবর্তী গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত লিবিয়ার অর্থনীতি তেলনির্ভর । কাজের সন্ধানে বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ থেকেই তরুণেরা অবৈধ পথে দেশটিতে পাড়ি জমায়। একপর্যায়ে তাদের বেশিরভাগেরই লক্ষ্য থাকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধ ভাবে ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়া। এশিয়া–আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার পুরো রুটে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী বিশাল চক্র সক্রিয় রয়েছে।

উপরে