শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 1 July, 2020 23:52

ভারত-চীনের আরেক দফা নিষ্ফল বৈঠক

ভারত-চীনের আরেক দফা নিষ্ফল বৈঠক
ফাইল ছবি
মেইল রিপোর্ট :

চীন-ভারতের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে মঙ্গলবার সামরিক পর্যায়ে তৃতীয় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কোনো রকম সমঝোতা ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়। এর আগে সীমান্ত নিয়ে দুটি বৈঠক হয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে। আরও কয়েকটি পর্বের ওপর নির্ভর করছে বৈঠকের ভবিষ্যৎ।

পরবর্তী বৈঠকগুলো সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে হবে। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে উত্তেজনা প্রশমনে সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরান হবে।দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার জন্য রাজি উভয় দেশই।

এদিকে, ভারতে ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেইজিং। 

ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্লাটফর্মে থাকা মোবাইল অ্যাপ অপব্যবহার করে গ্রাহকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কারণেই সবদিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

ভারতের এই কড়া পদক্ষেপ জানার পরেই নড়েচড়ে বসে চীন। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ঘটনা জানার পর চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতি যাচাই করে দেখছে।

এদিকে, দেশ দুটির সেনার কোর কমান্ডার পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকের নির্যাস বলতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা। সেনা সমাবেশ সরানো নিয়ে কথাবার্তা।

কিন্তু এর বাইরে গালওয়ান উপত্যকা বা প্যাংগং লেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চীন সেনা সরাবে, এমন কোনো প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাস মেলেনি বলেই ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর।

বরং বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা, রসদ ও অস্ত্রশস্ত্র মজুদ বাড়িয়েই চলেছে বেইজিং। তৈরি করছে সেনা ছাউনির মতো নানা কাঠামোও।

এ পরিস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সেনা সরিয়ে স্থিতাবস্থা ফেরানো এবং বেইজিংয়ের তরফে কোনো রকম আগ্রাসন হলে তার উপযুক্ত জবাব দিতে নিজেদের প্রস্তুত রাখার কৌশলেই এগোচ্ছে নয়াদিল্লি।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই ফিংগার ৪-এর ভেতরে স্থায়ীভাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে চীন। ভারতকে চাপে রাখতে আরও এক ধাপ এগিয়েছে বেইজিং।

প্যাংগং লেক এবং গালওয়ান উপত্যকা সমস্যা সমাধানে ভারত বা চীন কেউই সেনা সরাতে রাজি হয়নি।

ভারত বলছে, প্যাংগং লেকে তিন কিলোমিটার পিছু হটা কিছুতেই সম্ভব নয়। কারণ তাহলে ফিংগার-৪ থেকে সরে আসতে হবে। ফিংগার-৪ সবসময় ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

ভারত ফিংগার ৮-এ লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল দাবি করে।

ভারতের ওপর নজরদারি বাড়াতে বর্তমানে সেখানে ঘাঁটি তৈরি করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। সেখানেই বাঙ্কার এবং নজরদারি ব্যবস্থা করে পোস্ট তৈরি করেছে চীন। ফিংগার-৪ থেকে ফিংগার ৮-এর মাঝে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে মূলত এ কাজ টানা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। একইভাবে, গালওয়ান পেট্রল পয়েন্ট ১৪-তে দুই থেকে তিন কিলোমিটার পিছু হটতে রাজি নয় চীন।

প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডেপসাং এবং ডেমচকেও একইরকম অবস্থান চীনের। দেশটি লাদাখ সীমান্তের কাছে সেনা বাড়িয়েছে।

সরকারি সূত্রের বরাতে ইন্ডিয়া টুডে ও আজতাক টিভি জানায়, চীন প্রায় ২০ হাজার সৈন্য সমাবেশ করেছে। এছাড়া জিনজিয়াং প্রদেশে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রেখেছে, যাদের ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছাতে ৪৮ ঘণ্টা লাগবে।

মঙ্গলবারের বৈঠকে সব বিতর্কিত অঞ্চলগুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। চীন আলোচনা শেষে জানিয়েছে, গত ২২ জুন গালওয়ানের ‘ক্লেমড লাইন’ থেকে ৮০০ মিটার দূরে ছিল তারা।

গালওয়ান উপত্যকার পিপি ১৪-তে চীনা সেনারা প্রায় ১০০-১৫০ মিটার সরে গেছে। লাইন অফ কন্ট্রোলে পিপি-১৪ থেকে শেষ পর্যন্ত সব পেট্রল পয়েন্ট নিজেদের বলে দাবি জানিয়েছে ভারত।

উপরে