ইউনেস্কোকে না জানিয়ে হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘর পরিবর্তন নয়
প্রায় দেড় হাজার বছর আগে গির্জা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ইস্তানবুলের বিশ্বখ্যাত হাজিয়া সোপিয়া জাদুঘরের যেকোনো পরিবর্তন অবশ্যই ইউনেস্কোকে জানাতে হবে এবং পরিবর্তনগুলো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক পরিষদ একথা জানিয়েছে।
তুরস্কের শীর্ষ প্রশাসনিক আদালত শুক্রবার (১০ জুলাই) জানিয়েছে, ১৯৩৪ সালে হাজিয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে রূপান্তর অনৈতিক ছিল।
তুরস্কের দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ঘোষণার ফলে একে মসজিদে রূপান্তরের পথ সুগম হয়েছে।
ইউনেস্কো রয়টার্সকে জানিয়েছে, হাজিয়া সোফিয়া তাদের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় জাদুঘর হিসেবে ছিল এবং এক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি এবং আইনি বাধা রয়েছে। রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে তার নিজ ভূখণ্ডে অবস্থিত কোনো তালিকাভুক্ত স্থানের এমন কোনো পরিবর্তন আনা না হয়, যা এর সার্বজনীন মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।
তারা আরও বলেছে, রাষ্ট্র যেকোনো পরিবর্তনের ব্যাপারে অবশ্যই আগে ইউনেস্কোকে অবহিত করবে এবং প্রয়োজনে তা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচিত হবে। ইউনেস্কো তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকটি চিঠিতে এ বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তারা জানায়, এই স্থানের সার্বজনীন মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তুরস্কের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি।
এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্থানটি খ্রিস্টীয় বাইজেন্টাইন এবং মুসলিম অটোমান উভয় সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল। বর্তমানে এটি তুরস্কের অন্যতম সর্বাধিক দর্শনীয় স্থান।
একে জাদুঘর থেকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং গ্রীসের কর্তৃপক্ষ এবং খ্রিস্টীয় চার্চের নেতাদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।