শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির বাংলোয় আছেন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দাঁতভাঙা জবাব পাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 2 October, 2020 22:38

যুদ্ধবিরতি চায় আর্মেনিয়া

যুদ্ধবিরতি চায় আর্মেনিয়া
মেইল রিপোর্ট :

ধীরে ধীরে আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে বিরোধপূর্ণ নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ। বাড়ছে দুপক্ষেই হতাহতের সংখ্যাও। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী সংঘর্ষের শুরুতেই কিছুটা সাফল্য পেয়েছে আজারবাইজান। আর্মেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বেশ কিছু এলাকা পুনর্দখলে সক্ষম হয়েছে আজারি বাহিনী।

যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) আর্মেনীয় বাহিনীর ফেলে যাওয়া বেশ কিছু সামরিক যান এবং অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছে আজারি বাহিনী।

এদিকে, আর্মেনিয়া জানিয়েছে, সংঘাত নিরসনে আজারবাইজানের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তত রয়েছে তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে এমনটিই বলা হয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে আর্মেনিয়া। এসব দেশ ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার (ওএসসিই) সদস্য।

তবে নাগারনো-কারাবাখে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ়চেতা জবাব অব্যাহত থাকবে বলেও আর্মেনিয়ার ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন করে ৫৪ জনসহ মোট ১৫৮ সামরিক সদস্যের প্রাণহানি হয়েছে এই সংঘাতে। এরপরই আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিরতির ইচ্ছা প্রকাশ করলো।

আজারবাইজানের সঙ্গে সবশেষ এই লড়াই-সংঘাত নিরসন যে আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব; বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমবারের মতো শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিল আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত রোববার সামরিক লড়াই শুরুর পর এর আগে সংঘাত বন্ধে রাশিয়াসহ পশ্চিমা নেতাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি কোনো দেশ।

ছয়দিন ধরে চলা এই লড়াইয়ে কোনো সামরিক প্রাণহানির কথা না জানালেও আজারবাইজান জানিয়েছে যে, আর্মেনিয়ার সেনাদের গোলার আঘাতে আজারবাইজানের ১৯ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে গত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় লড়াইয়ের ঘটনা। পার্বত্য ওই অঞ্চলটি সোভিয়েত আমলে আজারবাইজানের অংশ ছিল। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এক যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সহায়তায় জাতিগত আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অঞ্চলটি দখল করে নেয়।

উপরে