ইরান-কোরিয়া উত্তেজনা তুঙ্গে

পারস্য উপসাগর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী একটি তেলবাহী জাহাজ ইরানের বিপ্লবী গার্ড আটকের ঘটনায় বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জাহাজটি শিগগিরই মুক্তি দেওয়ার জন্য দাবি করেছে দ. কোরিয়া। এছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাহাজ আটকের বিষয়ে কথা বলার জন্য হরমুজ প্রণালীতে মোতায়েন দ. কোরিয়ার সেনা সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল ইরান গিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিজাদে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দ. কোরিয়ার জাহাজ আটকের ঘটনা একদম টেকনিক্যাল ব্যাপার এবং ইরান অন্যান্য দেশগুলোর মতোই সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বেশ সচেতন। তাই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দ. কোরিয়ার সরকারের আচরণ মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাদের যৌক্তিক এবং দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।
অন্যদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার ওমান উপকূল থেকে চেমি নামের জাহাজটি ২০ জন ক্রুসহ আটক করেন তারা। পরিবেশ আইন অমান্য করায় আটক করা হয়েছে জাহাজটি। ওই জাহাজের রাসায়নিক দ্রব্য পারস্য উপসাগরের পানি দূষণ করছিল। কিন্তু দ. কোরিয়া তাদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরানের বন্দর শহর বন্দর আব্বাসে আটক রয়েছে জাহাজটি। জাহাজে আটক ২০ জন ক্রুদের মধ্যে রয়েছেন দ. কোরিয়া, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামের নাগরিক। এদিকে দ. কোরিয়ার জল-দস্যু মোকাবিলা ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে করে ‘চই ইয়ং’ বিধ্বংসী রণতরী হরমুজ প্রণালীর প্রায় নিকটে পৌঁছেছে। এই অঞ্চলটি সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চোই ইয়ং-সাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কোনো রকম সামরিক তৎপরতায় যেতে আগ্রহী নন তারা। দ্বিপাক্ষিকভাবে কূটনৈতিক উপায়ে বিষয়টি সমাধান করতে চান। এদিকে দেশটির উপ-রাষ্ট্রমন্ত্রী চোই জং-কুন পূর্ব নির্ধারিত এক সফরে আগামী সপ্তাহেই ইরানে যাচ্ছেন।