যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার
পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ বিতর্কের শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে ফ্রান্স। পাশাপাশি ওয়াশিংটন ও বাল্টিমোরের আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স মৈত্রী কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ না করার কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়ান যুভেস লে ড্রিয়ান।
তিনি বলেন, ওই দুই দেশের থেকে অনভিপ্রেত ব্যবহার পাওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বাধ্য হয়েছি।
ফান্সের কাছ থেকে ডুবোজাহাজ কেনার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আধুনিক পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ভার্চুয়াল বৈঠকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য চীনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়াকে ওই ডুবোজাহাজ বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
এই বিষয়টিই ক্ষুব্ধ করেছে ফ্রান্সকে। পাশাপাশি, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা আগ্রাসন ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে ‘এইউকেইউএস’ জোট গঠনের বিষয়টিও এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার ভাল ভাবে নেয়নি বলে জানা গেছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, ন্যাটো জোটের অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র ফ্রান্সও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অক্ষের শরিক হতে চেয়েছিল।
বাইডেন-বরিস-মরিসনের ভার্চুয়াল বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়। পাশাপাশি বৈঠকে ঠিক হয়, আগামী দেড় বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের নৌবাহিনী অস্ট্রেলিয়ার নৌবহরকে আরও শক্তিশালী করে তোলার কাজ করবে। যা ফ্রান্সের প্রতিরক্ষার কাছে বড় ধাক্কা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।