ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন জর্জিয়া মেলোনি
ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় নির্বাচনে রক্ষণশীল জোটের জয়ে ইতালির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন জর্জিয়া মেলোনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ডানপন্থী জোট ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে দেশটির। খবর বিবিসি ও এএফপির।
জয়ের পর সোমবার সকালে দলের উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশে ৪৫ বছর বয়সী মেলোনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা শেষ বিন্দুতে নেই, আমরা সূচনা বিন্দুতে আছি। আমাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। পরাজিত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা দেবোরা সেরাচিয়ানি বলেন, এটি দেশের জন্য একটি দুঃখজনক সন্ধ্যা। আংশিক ফলে দেখা যায়, ডানপন্থী জোট পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে পোক্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। এতে সম্ভবত গত কয়েক বছরের অস্থিরতা ও ভঙ্গুর জোটের পর ইতালিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিরল সুযোগ এসেছে। ভোটের প্রকাশিত ফলে জরিপের মিল পাওয়া গেছে। অর্ধেক ভোট গণনার পর দেখা যায়, মেলোনির ব্রাদার্স অব ইতালি প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। দলটি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মাত্র ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। দেশের বহু সমস্যার সমাধানে নতুন একজনকে বেছে নিয়েছেন ভোটাররা।
অবশ্য মেলোনির মিত্র মাত্তেও সালভিনির লিগ নির্বাচনে বাজে ফল করেছে। দলটি প্রায় ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। চার বছর আগের নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ১৯ শতাংশের মতো। সালভিনির উত্তরের প্রথাগত ভোটব্যাংক বাগিয়ে নিয়েছেন মেলোনি। অন্য গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণশীল দলগুলোর মধ্যে সিলভিও বেরলুসকোনির ফোরজা ইতালিয়া পেয়েছে ৮ শতাংশ ভোট। এতে শরিক হিসেবে জোটে অবস্থান পোক্ত হয়েছে ব্রাদার্স অব ইতালির। অন্যদিকে, ক্ষমতা থেকে সদ্য বিদায়ী মধ্য বাম ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পেয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ ভোট। নিরপেক্ষ ফাইভ স্টার মুভমেন্ট পেয়েছে ১৬ শতাংশ ভোট। মধ্যপন্থী এ্যাকশন গ্রুপ ৭ শতাংশের কিছুটা বেশি ভোট পেয়েছে। মেলোনির জোট পার্লামেন্টের উচ্চ ও নি¤œকক্ষ দুটিতেই পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে বলে আভাস মিলছে। তবে কয়েকটি ইস্যুতে জোটের শরিকদের ভিন্ন অবস্থানের কারণে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়াটা কঠিন হবে।
মেলোনি ও তার জোটকে চ্যালেঞ্জের এক জটিল তালিকার মুখোমুখি হতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি মূল্যের উল্লম্ফন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইউরো জোনের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে নতুন করে দেখা দেয়া মন্দা। এর আগে রবিবার ইতালিতে সংসদ নির্বাচনে ভোর ৫টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। ৫ কোটির বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন।