শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 8 October, 2022 01:12

মিয়ানমার-ইসরাইল সম্পর্কের চাঞ্চল্যকর নথি প্রকাশ

মিয়ানমার-ইসরাইল সম্পর্কের চাঞ্চল্যকর নথি প্রকাশ
মেইল রিপোর্ট :

ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নথিতে ইসরাইল ও মিয়ানমারের (সাবেক বার্মা) মধ্যে গভীর সম্পর্কের বিষয়টি ওঠে এসেছে। তাছাড়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে নিধন চালিয়েছে সেটির সম্পৃক্তা পাওয়া গেছে। 

ইসরাইলের গণমাধ্যম হারেজ জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের প্রকাশিত ২৫ হাজার নথিতে রয়েছে, ইসরাইল সেনাবাহিনী বার্মায় একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে পুনর্গঠনে সহায়তা করেছে, সশস্ত্র ও প্রশিক্ষিত করেছে এবং সামরিক শক্তিতে বলিয়ান থেকে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম প্রদানে সহায়তা করেছে। সেই সঙ্গে সামরিক বাহিনীকে দেশটিতে কর্তৃত্ব বজায় রাখতেও সহায়তা করেছে। 

নথিগুলোতে আরও রয়েছে যে ইসরাইলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল অস্ত্র সহায়তার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমারের সমর্থন আদায় করা।

নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে কোনো ইসরাইলি প্রতিনিধি কখনও আপত্তি জানায়নি সেই সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে। 

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইল ১৯৫০-এর দশকে বার্মার মারাত্মক গৃহযুদ্ধকে অস্ত্র বিক্রি বাড়ানোর জন্য একটি ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসেবে দেখেছিল।

ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং বার্মিজ গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপনে ব্যাপক আগ্রহী ছিল ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী। পরবর্তীতেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি ইসরাইলের সমর্থনে কোনো পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যায়নি। 

তার অন্যতম উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, ২০১৯ সালের নভেম্বরে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা হয়েছিল সেখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জন্য ‘শুভকামনা’ জানিয়েছিলেন মিয়ানমারে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রনেন গিলর।

ইসরাইল এসব সহায়তার মাধ্যমে মিয়ানমারে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করেছিল।

এদিকে, বার্মাও ইসরাইলের ফিলিস্তিনি ভূমি দখল এবং অবৈধ বসতি নির্মাণ নিয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিল কারণ তারা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নাহাল ব্রিগেড ফাঁড়ির স্টাইলে বিদ্রোহী জাতিগত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে সামরিক কর্মীদের বসতি স্থাপনের চেষ্টা করেছিল। নথিগুলোতে আরও দেখা গেছে যে বার্মায় মুসলিম সংখ্যালঘুদের জাতিগত নির্মূল করার প্রচেষ্টাসহ দেশটিতে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ নিপীড়ন সম্পর্কে সচেতন থাকা সত্ত্বেও, ইসরাইল বার্মাকে নিরাপত্তা পরিষেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

শুধু তাই নয় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং বার্মিজ গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপনে ব্যপক আগ্রহী ছিল ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী। পরবর্তীতেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি ইসরাইলের সমর্থনে কোনো পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যায়নি। তার অন্যতম উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, ২০১৯ সালের নভেম্বরে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা হয়েছিল সেখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জন্য ‘শুভকামনা’ জানিয়েছিলেন মিয়ানমারে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রনেন গিলর।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ দখল করে। জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে, এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। তবে ইসরাইলি সরকার এই অভ্যুত্থান ও নৃশংসতার নিন্দা করতে অস্বীকার করেছে।

উপরে