কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করল চীন
মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে জারি করা ‘জিরো কোভিড নীতি’ শিথিল করেছে চীন। যাদের হালকা বা কোনো উপসর্গ নেই এখন তারা বাড়িতেই থাকতে পারবেন, কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে যেতে হবে না।
এছাড়া, হাসপাতাল ও স্কুল ছাড়া জনসমাগম হয় এমন স্থানে যেতে পিসিআর পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করেছে দেশটি।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ জুড়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে নাগরিকদের বিক্ষোভের মাত্র এক সপ্তাহ পরে এই সিদ্ধান্ত নিলো চীন সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি শক্তিশালী লক্ষণ যে, চীন তার কঠোর শূন্য কোভিড নীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যসব দেশের মতো চীনও ‘ভাইরাস নিয়ে বাঁচতে’ শুরু করছে। যদিও দেশটিতে বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারেরও বেশি।
চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যেসব ঘোষণা এসেছে সেগুলো হলো- লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ আরও সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগ করা, নতুন কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত না হলে পাঁচদিনের মধ্যে ওই এলাকায় লকডাউন বন্ধ করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহামারি আকারে আক্রান্ত না হলে সেগুলো খোলা রাখা।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চীনের গুয়াংজু ও চংকিং শহরের কর্তৃপক্ষ প্রথম কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দেয়। শহরগুলোতে কর্তৃপক্ষ দোকানপাট, সুপার মার্কেট, জিমসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
পশ্চিম চীনের উরুমকি শহরে গত মাসে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে। বহুতল ভবনটি কোভিডবিধির আওতায় ছিল। ফলে ভবনটি থেকে বের হওয়া সহজ ছিল না। এরপর থেকেই দেশটিতে কোভিডবিধির বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পর হাজারো মানুষ সড়কে নেমে আসে। তারা কোভিড লকডাউনের ইতি টানার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ থেকে অনেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পদত্যাগ দাবিও করে।