মিয়ানমারের তেল-গ্যাস কোম্পানির বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের সামরিক প্রশাসনের অস্ত্র কেনার ক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যে তাদের সামর্থের উত্সগুলোকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্য।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রকামী জনতার বিরুদ্ধে সহিংস দমন-পীড়নের দুই বছরেরও বেশি সময় পর পশ্চিমাদের এই নতুন নিষেধাজ্ঞা এলো।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলছে, বার্মার সামরিক সরকার বিমান হামলা করে বেসামরিক লোকদের মারছে, গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের দমন করছে, বাড়িঘর ও অবকাঠামো ধ্বংস করছে এবং অভ্যুত্থানের পর থেকে লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
দেশটিতে সহিংস দমন-পীড়নে সামরিক সরকারকে সহায়তা করে এমন সব সরকারি কর্মকর্তাসহ কয়েকটি সংস্থা এবং ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমারা।
নতুন নিষেধাজ্ঞায় মূলত টার্গেট করা হয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো জান্তা সরকারের বৈদেশিক রাজস্বের সবচেয়ে বড় উৎস। প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন ডলার তারা এই খাতে আয় করে। খবর দ্য স্ট্রেইট টাইমস।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তিনটি সংস্থা এবং পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যারা জান্তা সরকারকে অস্ত্র এবং অন্যান্য পণ্য আমদানিতে সহায়তা করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা সব দেশকে সামরিক শাসকদের অস্ত্র, বিমানের জ্বালানি এবং রাজস্ব প্রবাহ বন্ধ করার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করছি।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক ট্রেজারি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেছেন, সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অস্ত্র কেনার সক্ষমতা কমাতে এবং বার্মার সেনাবাহিনীর ওপর আমাদের সম্মিলিত চাপ বজায় রাখতে কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।