গুরুত্বপূর্ণ মামলায় খালাস পেলেন ইমরান খান ও কুরেশি
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) শুনানি শেষে ইসলামাবাদের হাইকোর্টের (আইএইচসি) বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেবের সম্মিলিত বেঞ্চ এ রায় দেন। বিষয়টি পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের জন্য বড় সুখবর হিসেবে দেখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, দলটির জন্য এটি একটি বড় স্বস্তি।
জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় ইমরান খান এবং শাহ মেহমুদ কুরেশিকে জানুয়ারিতে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন পাকিস্তানের নিম্ন আদালত। পরে ওই রায় বাতিল চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন পিটিআইয়ের আইনজীবীরা।
২০২২ সালে ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসসংক্রান্ত বিতর্ক শুরু হয়। একটি জনসভায় তিনি গোপন চিঠি প্রদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে ঝড় ওঠে।
অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওয়াশিংটনে দেশটির রাষ্ট্রদূত কর্তৃক ইসলামাবাদে সরকারের কাছে পাঠানো একটি গোপন বার্তার বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
এর আগে গত মাসে আরও ৪টি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৯ মের সহিংসতায় এসব মামলা করা হয়।
এর মধ্যে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শেহজাদ শহরে থানার দুটি মামলা চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দায়ের করা হয়। এরপর এটির অনুমোদন দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর সাব্বির। রায়ে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা মামলা থেকে খালাস দেওয়া হলো।
এ ছাড়া গত ১৫ মে আরও দুটি মামলা থেকে খালাস পান ইমরান খান। একই ইস্যুতে ভাঙচুরের অভিযোগে ইসলামাবাদের খান্না থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাহিব বিলাল তাকে খালাস দেন।