হাইতিতে জাতিসংঘের হেলিকপ্টারে গুলি

হাইতিতে ১৮ জন যাত্রী বহনকারী জাতিসংঘের একটি হেলিকপ্টারে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে স্থানীয় একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। গুলিবর্ষণের কারণে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করে।
তবে হেলিকপ্টারে থাকা যাত্রীরা নিরাপদে ছিলেন এবং পরে তাদের দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে ফিরিয়ে আনা হয়।
হেলিকপ্টারে তিনজন জাতিসংঘ কর্মী ও ১৫ জন অন্যান্য সংস্থার যাত্রী ছিলেন। হামলার শিকার হেলিকপ্টারটি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) অধীনে পরিচালিত হচ্ছিল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এ গুলির ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা এপি ও একটি মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারিভাবে এ ঘটনার বিষয়ে জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি।
তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই হামলার পর হাইতির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের শক্তি আরও বেশি করে প্রকাশের চেষ্টা করবে। বর্তমানে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার করেছে।
সম্প্রতি সহিংসতা আর্কাহাইসহ হাইতির আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি সপ্তাহে রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত উপকূলীয় শহরে আক্রমণ করার পরে প্রায় ৫০ জন সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত এক ডজন বন্দুকধারী ছিলেন যারা নৌকাডুবিতে মারা গেছেন।
সম্প্রতি রাজধানীর পূর্ব দিকের একটি শহরে সংঘর্ষে বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এই সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ সহিংসতায় বিগত সপ্তাহগুলোতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লাখের বেশি মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।